জঙ্গীবাদী আগ্রাসন ঠেকাতে কারবালার চেতনায় মুসলমানদের উজ্জ্বিবিত হতে হবে। মুসলমানদের কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পশ্চিমা সংস্কৃতি ও জঙ্গী অপতৎপরতায় মুসলমানদের জড়িয়ে যেসব কুৎসা রটনা করা হচ্ছে প্রকৃত ইসলামের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। সত্য, ন্যায় ও খোদা প্রদত্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কারবালা প্রান্তরে নবী (দ.) পরিবারের ৮২জন আওলাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নিবে যাওয়া ইসলামে আলোর দিশা দান করেছেন। সত্যিকার মুসলমান কখনো মোনাফেক কিংবা বাতিলের কাছে মাথা নত করতে পারে না। তারা জীবনের বিনিময়ে সত্যিকার দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সদা প্রস্তুত থাকেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর জুমাবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত আনোয়ারা ৯নং পড়ৈকোড়া ইউনিয়ন আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলের সমাপনী দিবসে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী উপরোক্ত মন্তব্য করেন। দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরজাদা মুহাম্মদ ইলিয়াছ রজা (ম.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে ওষখাইন শাহ্ আলী রজা আলিম মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব শাহাজাদা মহিউদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছেরে কোরআন আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আলকাদেরী। মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাদা মাওলানা আব্দুল কাদের চাঁদমিয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা সৈয়দুল হক সাঈদ কাজেমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী, ব্যাংকার মুহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম চৌধুরী সোহেল, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মাষ্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, সমাজসেবক বেলাল উদ্দিন, হাসান আহমদ চৌধুরী সুকান্ন, ফজল আহমদ সওদাগর, ব্যাংকার মুহাম্মদ আবু হামেদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.এ কাজিম উদ্দিন, হাসান জিয়াউল ইসলাম, এস.এম নেছার মিয়া, সৈয়দ শাহ্ মীর সোহেলম, সৈয়দ মুহাম্মদ আফজল, মাওলানা মুহাম্মদ সোলায়মান, মোহাম্মদ লোকমান সওদাগর, মাওলানা মুহাম্মদ হেলালী, মোহাম্মদ হাসান, মাষ্টার মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সরওয়ার হোসেন ভুট্টো, মুহাম্মদ আজিজুর রহমান লেদু, মুহাম্মদ আফজল, মুহাম্মদ আয়ুব, আবু ইউসুফ, মুহাম্মদ সেলিম, মুহাম্মদ আলী, আরব আলী, সালামত আলী মেম্বার, মুহাম্মদ রাসেল, মোহাম্মদ বাবুল, মুহাম্মদ ওয়াসিম, মুহাম্মদ আইয়ুব খান প্রমুখ।