চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক
সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডিজিটাল কারচুপির জন্য
তড়িঘড়ি করে দুর্নীতির মাধ্যমে ইভিএম মেশিন ক্রয় করেছে এই অবৈধ সরকার।
শুধু তাই নয় আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারা এর ৪ টি উপধারা পরিবর্তন করে
ডিজিটাল আইনের নামে কালো আইন পাশ করে নীল নকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা
করছে। তিনি আজ ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জিইসি মোড়স্থ একটি
রেষ্টুরেন্টে ডক্টর এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)’র চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ শাখার উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকৎসা ও
মুক্তির দাবীতে চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডা.
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করতেই হাজার হাজার
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। গত ১৫
দিনে ৩ হাজারের অধিক গায়েবী মামলায় ৩ লক্ষেরও অধিক বিরোধী দলের নেতা
কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এই ফ্যাসিষ্ট সরকার। ডা. শাহাদাত
হোসেন আরো বলেন, এই আওয়মী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের হাজার হাজার
কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ইউনিপে এম এল এমের মাধ্যমে হাজার হাজার
কোটি টাকা পাচার হয়েছে, বংলাদেশ ব্যাংকের সোনা এখন তামায় পরিণত হয়েছে,
কয়লা চুরি হয়েছে, কিন্তু কেউ কথা বললেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া
হয়। সর্বশেষ এখন গোরস্থান পর্যন্ত পাহারা দেয়ার সময় এসেছে। ডা. শাহাদাত
হোসেন আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেল কোড
অনুসারেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। বিশেষায়িত থেরাপির মাধ্যমে বিএনপির
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হওয়া উচিত, কিন্তু তিনি তা থেকেও
বঞ্চিত। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দাবী করেছেন, যে চিকিৎসা
বর্তমানে দেয়া হচ্ছে, তাতে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা
নিতে হবে। চিকিৎসক সমাবেশ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির
জোর দাবী জানান।
ডক্টর এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)’র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার
সভাপতি ডা. খুরশিদ জামিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ডা. এম এ মান্নান, অধ্যাাপক ডা. তামিজ উদ্দিন মানিক, ডা. জিয়া উদ্দিন,
ডা. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর আবদুল আলিম, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালি প্রমুখ
নেতৃবৃন্দ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি।