সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় এক শিক্ষকের বাড়ি লুটের উদ্দেশ্যে গোপনে খাবারে রাসায়নিক দ্রব্য মেশায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এরপর বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে লুটপাট চালায় তারা। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিক্ষক আশুতোষ সাধুকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আশুতোষ সাধু সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত বিসন্নপদ সাধুর ছেলে।
আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মালি জানান, অজ্ঞান পার্টির মেশানো খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আশুতোষের মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করার লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা শিক্ষক আশুতোষ সাধুর বাড়িতে এসে অজান্তে তাদের খাদ্যের পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। ওই খাদ্য খেয়ে রাত ৯টার দিকে সাধু ও তার স্ত্রী ঝর্ণা সাধু এবং তাদের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত ১১টার দিকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আশুতোষ সাধুর ঘরে প্রবেশ করে তাদের জিনিসপত্র লুটপাট করার সময় ঝর্ণা সাধু তাদের দেখতে পান। এরপর লুটপাটে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আশুতোষের স্ত্রী ঝর্ণা দেখতে পান, তার স্বামীর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
এর কিছুক্ষণ পর ঝর্ণা সাধু নিজে ও তার মেয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রাতেই তাদের সবাইকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশুতোষ সাধুর অবস্থার অবনতি হলে সোমবার খুলনা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ২টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান। তবে তার স্ত্রী ও মেয়ে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে আশুতোষ সাধুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’