আজ : মঙ্গলবার ║ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : মঙ্গলবার ║ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৩রা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

চবি ফিশারিজ বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) রাত ৮টায় ফিশারিজ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, মাত্র তিনজন শিক্ষক এ বিভাগ চালিয়ে নিচ্ছেন, এজন্য এ বিভাগের শিক্ষকরা কৃতিত্বের দাবিদার। এ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয়েছে, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও সততার সাথে শিক্ষক নিয়োগ দিতে বদ্ধপরিকর। তিন স্তরে পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি। সর্বোচ্চ যোগ্যদের আমরা নিয়োগ দিচ্ছি। উপাচার্য বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছি যখন দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্যে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সেই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ইমেজ ফিরিয়ে এনেছি। হলে এখন কোনো মারামারি নেই। প্রায় প্রতিদিন গবেষণাধর্মী কার্যক্রম হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে সর্বোচ্চ একাডেমিক পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে অনেক কাজ হয়েছে, আরও কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক পরিবর্তন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উপাচার্য বলেন, ফিশারিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমৃদ্ধ বিভাগ। গবেষণা, উচ্চ শিক্ষায় এ বিভাগের দারুণ অবদান রয়েছে। দেশের কিংবা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এ বিভাগের গবেষণা কিংবা কাজ করার ভালো ক্ষেত্র রয়েছে। এ বিভাগের যেসব সমস্যা রয়েছে আমরা সেগুলো আমলে নিয়ে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, হীনমন্যতায় ভুগবে না। নিজেকে সারাবিশ্বের ফিশারিজের একজন শিক্ষার্থী মনে করবা। তাহলে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবা। সবার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য খাতে এ বিভাগের নানাভাবে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। যতটুকু জ্ঞান লাভ করেছো সেটা সমাজ, দেশকে এগিয়ে নিতে কাজে লাগাবা। তোমরা এই বিভাগের গৌরব, তোমাদের সাফল্যই আমাদের প্রেরণা হবে। তোমাদের সকলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক। এই বিভাগের নাম যেন তোমাদের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হয়, সেই শুভ কামনা রইলো।

বিভাগের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ফিশারিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে এ বিভাগের অবদান রয়েছে। শিক্ষক, জনবলসহ বেশকিছু সমস্যা রয়েছে এখানে। আমরা চেষ্টা করছি এসব সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার। এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা ও অবদান তুলে ধরেন। এছাড়া বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম (শাহীন) বক্তব্য রাখেন। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন নুসরাত জাহান ঐশী ও আবরার আলী। এসময় অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরও সম্মননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সবশেষে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান সভাপতির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান প্রান্ত ও দ্বীপায়ন ঢালী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ