
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: কামাল-এর স্বেচ্ছায় অবসরজনিত বিদায়সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভাসু অফিসার সমিতি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিদায়সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম। সভাপতিত্ব করেন অফিসার সমিতির সভাপতি এবং সিনিয়র উপপরিচালক (অডিট) মো: ইয়াছিন চেীধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবাইকে একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যেতে হবে। এটাই হলো বাস্তবতা। কিন্তু আমাদের চাকরিজীবনে আমরা আমাদের সময়টা কিভাবে ব্যয় করলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কতটুকু দিলাম, দেশের জন্য, জাতির জন্য কতটুকু করলাম, দিনশেষে মানুষ এটাকেই মনে রাখবে। কারণ, মানুষ মানুষকে মনে রাখে তার কৃতকর্মের দ্বারা। ভালো কাজ করলে, মানুষ সেটা মনে রাখবে।’
প্রফেসর ড. মো: কামাল বিশাল ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের ফিশারিজ সেক্টরের জন্য তিনি একজন লেজেন্ড। সিভাসু’তে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, সিভাসু পরিবার তা সবসময় স্মরণে রাখবে।’
বিদায়ি অতিথি প্রফেসর ড. মো: কামাল বলেন, ‘আমি সিভাসু’তে কতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি জানিনা। তবে আপনারা আমাকে যে ভালবাসা দেখিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। আমি মনেকরি, এটাই আমার সার্থকতা।’
শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান অফিসার সমিতির পক্ষ থেকে বিদায়ি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: কামাল-কে ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ ও হস্তান্তর করেন প্রধান প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্ত্তী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মো: কামাল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক গত ০৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ০৪ বছরের জন্য সিভাসু’র ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।















