ক্লিনিকের রিসিপশন বিভাগের এক কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ডা. রিয়াজুলসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রিয়াজুল ইসলাম (২৫) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দিপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক।
১ মার্চ রবিবার সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ওই ইন্টার্নি চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অপর দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পলাতক আসামিরা হলো- কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান মিঠুন (৩৬)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী কর্মী শহরের একটি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিপশন বিভাগে যোগদান করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ক্লিনিকের ৫ তলায় ২ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে কোকাকোলার মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ক্লিনিক মালিক ৩ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান মিঠুনকে জানানোর পর তিনি বিষয়টি সমঝোতা করবেন বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। পরে তিন জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।