আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ এশিয়া এজিং নেটওয়ার্ক এক্সচেঞ্জ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলো সিভাসু

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের একটি দল যুক্তরাজ্যের Angila Ruskin University-তে আয়োজিত SAAgeNet knowledge exchange and training visit-2025 প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। SAAgeNet এবং যুক্তরাজ্যের ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত Cognitive Frailty Interdisciplinary Network (CFIN) কর্মশালায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলো সিভাসু ।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ও রিটল শহরে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিভাসু’র খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার। এছাড়া, কর্মশালায় অংশ নেন সিভাসু’র এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুল হক, সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা আহমেদ এবং প্রভাষক সুলতানা জান্নাত পমি। তাঁরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেশন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে অংশ নেন।
কর্মশালার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং Angila Ruskin University (ARU) এর সঙ্গে সংযোগ প্রতিষ্ঠা করেন কমনওয়েলথ স্কলার ও সিভাসু’র এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা আহমেদ।
কর্মশালার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ‘Ageing and Planetary Health’ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন, যা বয়সজনিত স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করে। SAAgeNet যৌথ গবেষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন CFIN এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই নেটওয়ার্কে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে সিভাসু প্রতিনিধিদল আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন বাংলাদেশের গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা নিশ্চিত হবে। কর্মশালার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ARU কেমব্রিজ ও রিটল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সুস্থ বার্ধক্য বিষয়ক গবেষণা ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ