
দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটির ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ও ডেল ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে ‘ট্রান্সলেশন স্টাডিজ’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই কর্মশালা চলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে আলোচনা করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের ডিন, প্রখ্যাত শেক্সপিয়র বিশেষজ্ঞ, সমালোচক ও অনুবাদক অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। তিনি তাঁর সেশনে শেক্সপিয়রের সাহিত্য অনুবাদের জটিলতা, কৌশল এবং এর সাংস্কৃতিক রূপান্তর বিষয়ে গভীর আলোকপাত করেন। তিনি বাংলা ভাষায় শেক্সপিয়রের কাব্যিক ছন্দ এবং জটিল রূপক অক্ষুণ্ন রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সার্থক অনুবাদ কেবল আক্ষরিক নয়, বরং মূল রচনার চেতনার ‘পুনঃসৃষ্টি’।
অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে আরও দুটি পৃথক সেশন পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এনসিটিবি-এর পাঠ্যপুস্তক অনুবাদক শাহনাজ পারভীন সিঁথি এবং স্পেনের সেপ্রোটেক (ঝবঢ়ৎড়ঞবপ)-এ কর্মরত ইন্টারপ্রেটার সাজেদ উল আলম।
শাহনাজ পারভীন পাঠ্যপুস্তক অনুবাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অ্যাকাডেমিক অনুবাদের প্রায়োগিক দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষাগত অনুবাদের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নির্ভুলতা এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে বাস্তব উদাহরণ উপস্থাপন করেন।
জনাব সাজেদ উল আলম তাঁর বক্তব্যে সুইডিশ, ড্যানিশ ও স্প্যানিশ ভাষার বৈচিত্র্য এবং এসব ভাষার সাথে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ভিন্নতার দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি একজন প্রফেশনাল ইন্টারপ্রেটার হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে রিয়েল-টাইম ইন্টারপ্রিটেশনের চাপপূর্ণ পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক কম প্রচলিত ইউরোপীয় ভাষাগুলোতে দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করেন, কারণ বিশ্বব্যাপী বহুভাষিক পেশাদারদের চাহিদা বাড়ছে।
কর্মশালার বিশেষ অতিথি এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ জসীম উদ্দীন সমাপনী বক্তব্য রাখেন। তিনি চট্টগ্রামের শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, সংগীত ও সাংবাদিকতায় ঐতিহ্যবাহী আলম পরিবারের অবদান উল্লেখ করে ডেল ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের এই সময়োপযোগী আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ভাষাশিক্ষা ও অনুবাদচর্চা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। তিনি ক্লাবের সদস্যদের ভবিষ্যতে আরও বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ভাষাশিক্ষাকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান। সর্বশেষে, তিনি রিসোর্স পার্সনদের মূল্যবান সময় ও আলোচনার জন্য এবং কর্মশালাটি সফলভাবে সমন্বয় করার জন্য সহযোগী অধ্যাপক কোহিনুর আক্তার ও সঞ্চালনায় থাকা সপ্তম অর্ধবর্ষের দুই শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা ও দীনেশ ত্রিপুরা-সহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।













