শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সন্দেহভাজনদের পরিবার, সহযোগী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন আর্থিক গোয়েন্দারা। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে হাসিনা সরকারের ১১ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির তথ্য জানাতে হবে। বিভিন্ন দেশেও ইতোমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেড় দশকে আর্থিক গোয়েন্দাদের অনেকটাই ‘ঠুঁটো জগন্নাথে’ পরিণত করা হয়েছিল। কাগুজে হুঙ্কার ছাড়া কোনো কার্যক্রম ছিল না তাদের। সময় এসেছে সংস্কারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে জাগিয়ে তোলার। দায়িত্ব নিয়েই আর্থিক খাতের অপরাধীদের কঠোর বার্তা দিলেন নতুন গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন এখনও কিছুটা হলে সহায়ক আছে। এটাকে ব্যবহার করতে হবে। টাকা আসুক বা না আসুক তাদেরকে আমরা একটু কষ্টে রাখব। আশা করি আমরা এটা করতে পারব।
এদিকে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সত্যতা পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। শুরুতে সাবেক ৬ মন্ত্রী, ৫ সাবেক সংসদ-সদস্য ও তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীসহ ৩১ জনের অর্থ সম্পদের তথ্য জোগাড় করছে বিএফআইইউ। মানি লন্ডারিং নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কারা কীভাবে কত টাকা অর্থ পাচার করেছে, এগুলো চিহ্নিত করে অর্থ ফিরিয়ে আনা প্রধানতম কাজ। এখন তো রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় নেই, যারা এখন দায়িত্বে আছে তাদের প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের বার্তার প্রতিফলন দেখতে চান সবাই। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচার বন্ধ ও অর্থ উদ্ধারে আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজাতে হবে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এজন্য অত্যন্ত দক্ষ একটি গ্রুপ দরকার, যারা এই কাজে লেগে থাকবে। এটিই হবে তাদের মূল কাজ। অর্থ ফিরিয়ে আনাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।
অমা