
দেশচিন্তা ডেস্ক : বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা কবি আল মাহমুদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদান” শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ জুলাই, শুক্রবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি (সিসিএ)-এর উদ্যোগে বহদ্দারহাটস্থ এক মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিএ সভাপতি সেলিম জামান এবং সঞ্চালনা করেন সিসিএ সেক্রেটারি কবি মুহাম্মদ আব্দুল গফুর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসিক দ্বীন দুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ।
তিনি বলেন, “বাংলা সাহিত্যে আল মাহমুদ এক অনন্য দ্যুতিময় নাম। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সাত কবির একজন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ— প্রতিটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তিনি কবিতার মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর আত্মা চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে। বাংলা সাহিত্য যতদিন থাকবে, আল মাহমুদ ততদিন বেঁচে থাকবেন।”
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম জামান বলেন, “প্রগতিশীল নামে পরিচিত তথাকথিত সাহিত্যধারার বিপরীতে আল মাহমুদ ছিলেন ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সাহিত্যচর্চার এক নির্ভীক সাধক। তাঁর সাহিত্যভাবনা ও কাব্যপদ্ধতি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “কবি আল মাহমুদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁর সাহিত্যকীর্তিকে সংরক্ষণ ও প্রচার করা এখন সময়ের দাবি।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিসিএ নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুহাম্মদ এনামুল হক, শিল্পী শাহেদুল করিম, অধ্যক্ষ আরিফ বিল্লাহ, মুবারক হোসেন, রহমত উল্লাহ, সাঈদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, শাফায়াত হোসেন, বোরহান উদ্দিন, মাসুম বিন মুহাম্মদসহ বিভিন্ন সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, “বাংলা সাহিত্যে মাটি, মানুষ ও নদীনির্ভর যে পরিপূর্ণ সাহিত্যের ধারা- তার অন্যতম স্রষ্টা কবি আল মাহমুদ। নবীন প্রজন্মের কাছে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া খুবই জরুরি। কারণ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে তাঁর ক্ষুরধার লেখনী সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তাই বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে হলে কবি আল মাহমুদকে জানার কোনও বিকল্প নেই।”