
নিজস্ব প্রতিবেদক : সংরক্ষিত বনে নিয়ম অনুযায়ী কোনো ধরণের স্থাপনা তৈরি করার বিধান নেই। কিন্তু বনখেকোদের একটা দল বনবিভাগের চোখকে অত্যন্ত সুকৌশলে ফাঁকি দিয়ে গত ১৫ মার্চ রাতের আঁধারে নির্মাণ করেছিল স্থাপনা। কোনোমতে একটা ঘর তৈরি করে দখল করতে চেয়েছিল চারপাশের কয়েক একর বনভূমি।
তবে চৌকশ বনকর্মকর্তার নজর কাড়ে ওই বনভূমি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ৮ এপ্রিল (সোমবার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টইটং বিটের কেরনছড়ি এলাকার আবুল বশর বাপের ডুরিতে একই এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে ও বনমামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী আব্দুল হাকিমের নির্মাণাধীন স্থাপনা উড়িয়ে দেয়।
এদিন বেলা ১২টার দিকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হকের দিকনির্দেশনায় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন টৈটং বিটকর্মকর্তা জমির উদ্দিন।বিটকর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন, কড়া বিধিনিষেধ থাকার পরেও সংরক্ষিত বনে স্থাপনা নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে, তারা রাতের আঁধারে নির্মাণ করেছে আর আমরা দিনের আলোতে উচ্ছেদ অভিযান করেছি এবং বনখেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারবাকিয়া রেঞ্জকর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবেনা। অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।