
নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ জানুয়ারি রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় এবং চট্টগ্রাম-১৫-আসনে পরবর্তী ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব বলেছেন, দ্বাদশ নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের জনগণের জন্য একটি নতুন দিনের সূচনা হয়েছে জানিয়ে এমএ মোতালেব বলেন, আগামী ১০০ দিনে পরবর্তী উন্নয়নমূলক কাজের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় পিছিয়ে পড়া অবকাঠামো সমূহের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন যেকোনো মূল্যে বন্ধ করা হবে। অবৈধ বালু উত্তোলন ও দখলবাজ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছতা আনার জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে সেবার মান বাড়ানো হবে। জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার জন্য দুই উপজেলাতেই নিয়মিত উঠান বৈঠক করা হবে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে শান্তির জনপদে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এমএ মোতালেব বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবো। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মূলোৎপাঠন করা হবে। সাবেক সংসদ সদস্যের প্রতিহিংসার শিকার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় পুলিশ প্রশাসনকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে পক্ষপাতিত্ব বা শিথিলতা না দেখানোর জন্য বলেছি। আগে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে আদর্শ বাসযোগ্য জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরু থেকেই উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী কোনো সহিংসতা যাতে না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাদক কারবারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সাবেক সাংসদ ও তার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত মিথ্যাচার শুরু করেছেন জানিয়ে এম এ মোতালেব বলেন, তারা নানা উস্কানিমূলক অসত্য তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিব্রত করার অপচেষ্টায় নেমেছেন। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। তারা আসলে কি করতে চান? তারা দশ বছর এলাকা জনগণের ওপর নানা অত্যাচার ও জুলুম করেছেন। তাদের সঙ্গে অনেকের অবৈধ লেনদেনের সম্পর্ক আছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এখন তারা সংবাদ মাধ্যমে অসত্য রিপোর্ট করাতে সচেষ্ট।
আমরা দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সহবস্থান নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচনে অনেকেই আমার বিরোধিতা করতে পারেন, এটা তাদের নিজ নিজ অধিকার, আমার বিপক্ষে যারা কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নেই। তাই সবাই মিলেমিশে কাজ করুন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে শান্তির জনপদে পরিণত করে মানুষকে উন্নত জীবনযাপন করার সুযোগ করে দিতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এমপি এম এ মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সদস্য সচিব ও সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাতকানিয়া অংশের চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন, মো. জসিম উদ্দিন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর লালু, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু ছালেহ, মো. সেলিম, রমজান আলী, জসিম উদ্দিন, রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিকদার, নাজিমউদ্দিন, আমির উদ্দিন চৌধুরী, রিদুয়ানুল হক, আলাউদ্দিন মো. সাবের, রফিকুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম, মাসুদ জাহাঙ্গীর, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ রিয়াদ প্রমূখ।