
নিজস্ব প্রতিবেদক : বায়তুশ শরফের পীর সাহেব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত আরব সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরনীয় নজীর স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য অনুপম আদর্শ।
পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি.।
৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ধনিয়ালাপাড়া বায়তুশ কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত চারদিন ব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
প্রথম দিবসে সকাল থেকে ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা। বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হয় ছোটদের আয়োজনে “পাখ-পাখলির আসর।” এতে প্রধান মেহমান ছিলেন বশর গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল বশর আবু।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, সহ-সভাপতি রাশেদুল আলম খোরশেদ, মজলিসুল উলামার মহাসচিব ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, যুগ্ম আহবায়ক হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন।