
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীকে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী থেকে প্লট বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেন ।
আজ রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির প্লট বঞ্চিত পক্ষে প্রবাসী সৈয়দ মোঃ আবুল হাশেম।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে লেকসিটি প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অহেতুক তালবাহানা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা উদাসীনতায় আজ প্লট মালিকরা সর্বহারা।
২০০৬ সালে তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে চট্টগ্রাম লেকসিটি হাউসিং সোসাইটি নামে প্রকল্প গ্রহণ করেন। ১৫টি শর্তে বিভিন্ন সুবিধার আশ্বাস দিয়ে তিন কাটা প্লট বরাদ্দের ঘোষণা দেন। আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি পরবর্তীতে ২.৫ কাটা করে প্লট সব আবেদনকারীকে উন্নয়ন চার্জ ২ লক্ষসহ ১৭ লক্ষ টাকা জমাতে দিতে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় দফা প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২.৫ কাটা গ্রাহকগণ সর্বমোট ২২ লক্ষ টাকা সিটি কর্পোরেশন বরাবরে পে অর্ডার এর মাধ্যমে পরিশোধ করেন। ৫৪৮জন গ্রাহকের মধ্যে ৪৫০ জন গ্রাহক প্লট বরাদ্দ পেলেও ৯৮জন গ্রাহক আজও পাইনি। মেয়র মুক্তিযুদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো সহযোগিতা করতে পারবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, বরাদ্দকৃত প্লটে চরম অনিয়ম রয়েছে। এই অনিয়মের সাথে চসিক কর্মকর্তারা জড়িত ছিল। প্লট বরাদ্দের সময় টাকার বিনিময়ে চসিক কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনকে আগে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন মোঃ সালাহ উদ্দিন, নূরুল আলম, মিসেস রোকেয়া বেগম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ আবদুল হক, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ আব্দুল মান্নান, মিসেস সফুরা বেগম প্রমুখ।