
২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব শেষের পথে। সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিই হতে যাচ্ছে কনমেবল অঞ্চলের শেষ দুই ম্যাচের সময়। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং ইকুয়েডর এরই মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবে এখনো বেশ কয়েকটি দল জায়গা করে নিতে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিরতি শুধু বাছাইপর্ব শেষ করার জন্য নয়, বরং দলগুলোর নিজেদের প্রস্তুতির চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময়ও বটে। পরীক্ষার সুযোগ খুব একটা বাকি নেই, তাই দল নির্বাচন নিয়ে কোচদের সামনে এখন কঠিন সিদ্ধান্ত- ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো নাকি একটা স্থির একাদশ গড়ে তোলা।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে, আগামী ২৫ আগস্ট রিও ডি জেনেইরোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে শেষ দুই ম্যাচের দল। প্রথম ম্যাচ ৫ সেপ্টেম্বর, সেদিন চিলির মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি স্থানীয় সময় ভোর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর তারা খেলতে যাবে বলিভিয়ার এল আল্তো শহরে, যেখানে ম্যাচ শুরু হবে রাত ১টা ৩০ মিনিটে।
এই দুটি ম্যাচই হবে বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে এটা হবে দলের প্রথম বিশ্বকাপ, তাই পুরো দলকে ঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে চাইছে তারা।
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো এস্পোর্তে জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এই দফার দলে থাকছেন না। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হলুদ কার্ড পাওয়ায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে তিনি এমনিতেই নিষিদ্ধ। তাই এক ম্যাচের জন্য ভিনিসিউসকে ডাকতে চাচ্ছেন না আনচেলত্তি। এ কারণেই রিয়াল মাদ্রিদের তারকা এ ফুটবলারকে দলে রাখছেন না তিনি। এদিকে ভিনি না থাকলেও গ্লোবো জানিয়েছে, আসন্ন দুই ম্যাচ দিয়েই ফিরছেন নেইমার জুনিয়র।
সেপ্টেম্বরের দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে নেইমারের নাম থাকলে ২২ মাস পর জাতীয় দলে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি। সবশেষ ব্রাজিলের জার্সিতে তিনি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর।
অন্যদিকে, রদ্রিগো এবং এদের মিলিতাও ফিরে আসছেন জাতীয় দলে। চোটের কারণে জুন মাসে ইকুয়েডর এবং প্যারাগুয়ের বিপক্ষে খেলা হয়নি এই দুজনের। এখন তারা পুরোপুরি ফিট, এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে তাদের।
এই ফিফা বিরতিটা কেবল বাছাইপর্বের শেষ নয়, বরং বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল দলের প্রস্তুতির চূড়ান্ত মহড়া বলেই মনে করছেন অনেকেই। দলে রদ্রিগো, মিলিতাও, কাসেমিরো, রাফিনহাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা থাকায় আনচেলত্তির জন্য এটা হবে নিজের কৌশল পরখ করার বড় সুযোগ।
যদিও ব্রাজিল আগেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নিশ্চিত করেছে, তবে এখন তাদের মূল লক্ষ্য হলো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য সেরা ছন্দে পৌঁছানো। সেলেসাওদের জন্য এই দুটি ম্যাচই হতে পারে নতুন কোচের হাত ধরে একটি নতুন যুগ শুরুর ঘোষণা।