
স্বাধীনতা বিরোধী ও উগ্র সাম্প্রতিক শক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংগার প্রতিবাদে আজ নগরীর এ কে খান মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড পাহাড়তলীল, আকবর শাহ, খুলশী ও হালিশহর থানা কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি আসে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, প্রধান বক্তা ছিলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদ।
আজ ১১ ডিসেম্বর বিকেল অনুষ্ঠিত সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস,আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন।বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে বিজয়ী হয়েছিল
,স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মৌলবাদীদের উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং উগ্র মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেমেছে। বিজয়ের মাসে এই আঘাত মুক্তিযোদ্ধারা কোনোভাবেই মেনে নেব না। অবিলম্বে হেফাজতসহ ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
প্রধান বক্তা ফরিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু আমাদের চেতনার অংশ, অস্তিত্বের অংশ। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ অভিন্ন স্বতা । বঙ্গবন্ধুর প্রতি যারা আঘাত করেছে তাদের সাথে কোনো আপস নেই। প্রয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একাত্তরে আমাদের বাবাদের মত আমরাও রক্ত দিতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠী যে হাত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে সে হাত আমরা গুঁড়িয়ে দেব।সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ,বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম জতু, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য শেখ নাছির আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন দেলু,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, মহানগর আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু,যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল,সৈকত চক্রবর্তী, এস এম ইশতিয়াক আহমেদ রুমি, জয়নুদ্দীন জয়,আরফাতুল মান্নান ঝিনুক, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাসির খান, ইকবাল হোসেন,মাসুদ করিম, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অলংকার চত্বরে এসে শেষ হয়।