দেশচিন্তা ‘অনলাইন : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমন তথ্য জানিয়েছেন, উইমেন্স উইংয়ের প্রধান নাদেল চৌধুরী।
এরই মধ্যে তারা বিসিবির কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছেন। এক্ষেত্রে শুধু বেতনই নয়, মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এমন কিছু হলে তা সালমাদের মাঝে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে। কারণ ছেলেদের তুলনায় তাদের ম্যাচ ফি খুবই নগন্য। টেস্টের ম্যাচ ফি হিসেবে ছেলেরা পায় ৬ লাখ টাকা, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য পায় দুই লাখ করে। সেখানে মেয়েরা ওয়ানডের জন্যই পায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও টি-টোয়েন্টির জন্য ৬ হাজারের উপরে।
উইমেন্স কমিটির প্রধান নাদেল এই বাস্তবতা স্বীকার করলেও ছেলেদের মতো এত বেশি ম্যাচ ফি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন, ‘ছেলেদের ও আর মেয়েদের ক্রিকেটের যে বিস্তর ব্যবধান সেটা মানতেই হবে। তাই ছেলেদের মতো করে মেয়েদের ম্যাচ ফি সেভাবে বাড়ানো সম্ভব নয়।’
তবে বর্তমানে যে অর্থ দেওয়া হয় সেটা কম বলেই ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে ওরা এখন যা পাচ্ছে সেটা খুবই নগন্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা তাই ওদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। সেই অর্থটা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩৪ হাজার টাকার মতো।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা মেয়ে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বেতন ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করতেও বলা হয়েছে।
এর আগে বিসিবি ২০ জন নারী ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছিল। তাদের বেতন ভাগ করা হয়েছিল চার ক্যাটাগরিতে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার। -ক্রিকবাজ।