আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামির রিমান্ডে মঞ্জুর

কক্সবাজার সংবাদদাতা

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালসহ ৭ পুলিশের আরও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ২৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তার আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল ইসলাম এসব আসামির ৭ দিন করে ফের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হচ্ছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাবাদ করা দরকার। তাই রিমান্ড শেষে আজ সোমবার আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল এবং ইতোমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরও সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করি। আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের এসআই ইন্সপেক্টর লিয়াকত

এর আগে বরখাস্ত হওয়া এই ৩ পুলিশ সদস্যকে সপ্তাহব্যাপী রিমান্ডে এনে পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাব। আবার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে তাদের রিমান্ডে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বা এপিবিএনের ৩ সদস্যকেও মুখোমুখি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েও ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।

এদিকে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার র‌্যাব কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার জানিয়েছেন, রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সব আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি ভালো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে রয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ