
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায় ২ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক জাহিদ হাসান (৪০)পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। ১৪ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাহিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। নিহত ছাত্রলীগ নেতা জাহিদের পরিবারের অভিযোগ আটকের পর পুলিশ সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে দামুড়হুদা থানার টহল পুলিশের একটি দল উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২ বোতল ফেনসিডিলসহ জাহিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরই সে ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী লিপি খাতুন খাতুনের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই পুলিশকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।
দামুড়হুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক নিহতের পরিবারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আটককৃত জাহিদ হাসান হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।