আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়া পুরো ঘটনাই পরিকল্পিত

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়া এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১৫ মার্চ রবিবার দুপুরের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। পুরো ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্ত কমিটি। তবে এ নিয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার তরিকুল ইসলাম ও তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মাসুদ রানা কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ১০টায় বিভাগীয় কমিশনার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে দুপুরের মধ্যে মেইলে এবং ফ্যাক্সে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৪ মার্চ শনিবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মাসুদ রানা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান। মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমাসহ আরও দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেন এবং জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতুসহ তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ ব্যাপারে আরিফের স্ত্রী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ওই কর্মকর্তা তার বাসায় এলে তিনি তাকে ভাঙা গেট ও দরজা দেখিয়েছেন। শুক্রবার রাতের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তার স্বামীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন, তা অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্য শুনেছেন এবং এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার কাছে জানতে চান কার নির্দেশে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে, কেন করা হয়েছে। তবে এর কোনও ব্যাখ্যা ওই কর্মকর্তা দিতে পারেননি।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন দাবি করেছেন, তিনি অফিসিয়াল কাজে রৌমারীতে ছিলেন। ফলে এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। সব পক্ষের কথা শুনে এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তদন্ত কমিটি মোটামুটি নিশ্চিত পুরো ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তদন্ত কমিটির কাছে। তবে গভীর রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো তার নির্দেশেই হয়েছে, এটা নিশ্চিত।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ