কক্সবাজারের পেকুয়ায় গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বসতবাড়িতে ডাকাতি ও নুরুন নবী নামে এক প্রবাসীকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জনতা তাদের গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গণপিটুনিতে আহত হয়েছে একজন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিলখালীর পাহাড়ি অঞ্চল সাপের ঘারা ও উত্তরের ঝুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পেকুয়া উপজেলার উত্তরের ঝুম এলাকার নাগু মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৩৫) ও নেজাম উদ্দিনের ছেলে মো. কাইছার (২৮)। আহত হয়েছেন নুরুল ইসলামের ছেলে মো. নাসির (২৬)।
পেকুয়া থানার ওসি মো. কামরুল আজম জানান, মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সাপেরঘারা এলাকায় মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুন নবীর বাড়িতে হানা দেয় একদল সশস্ত্র লোক। তাদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান নুরুন নবী। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন তার ভাই মোজাম্মেল ও মা হাজেরা বেগম। আহতরা বেশ কয়েকজন হামলাকারীকে চিনে ফেলেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাপেরঘারা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পাঁচটি ঘর ঘেরাও করে। সেখান থেকে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামাল উদ্দিন, মো. কাইছার ও নাসির হোসেনকে ধরে নিয়ে গণপিটুনি দেয় তারা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় জামাল উদ্দিন ও মো. কাইছার। অপর একজনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশের হেফাজতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তেরর জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ ছফি, ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক, জয়নাল আবদীন ও আলী চাঁন জানিয়েছেন, প্রবাসী নুরুন নবীর বাড়িতে ডাকাতি ও তাকে হত্যার ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। এলাকাবাসীরা তা মেনে নিতে পারেনি। বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ি এলাকায় ডাকাতদলের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন ডাকাতকে স্থানীয়রা পাকড়াও করার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের ওপর তারা হামলার চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয়দের গণপিটুনি শুরু হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয় এবং আহত হয় একজন। পুলিশ সকাল ১১টার সময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে।