দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
গণপরিবহন সঙ্কটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইজতেমা শেষে আখেরি মোনাজাতের পর ঘরমুখো মানুষ। মোনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য মুসল্লিদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অনেকেই ট্রাক ও পিকআপে রওনা দেন।
জয়দেবপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় দুপুর দেড়টার দিকে কথা হয় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার যাত্রী এমদাদুল হকের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, চান্দনা থেকে নিয়মিত ভাড়া ৩০ টাকা। সেখানে প্রভাতি-বনশ্রী পরিবহনের কর্মীরা ১০০ টাকা ভাড়া চাচ্ছেন। দ্রুত বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসে উঠতে হয়েছে।
টাঙ্গাইল সড়কের কোনাবাড়ীগামী তাকওয়া পরিবহনে ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ করেছেন কালিয়াকৈরগামী আবাবিল পরিবহনের যাত্রী আবু মুসা।
গাজীপুরের মালেকের বাড়ি থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য আলম এশিয়া পরিবহনে ওঠেন হুমায়ুন কবির। নির্ধারিত ভাড়া ১২০ টাকা হলেও সুযোগ বুঝে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দ্বিগুণ ভাড়ার বেশি (২৫০ টাকা) নিচ্ছে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে ইজতেমায় আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আলম এশিয়া পরিবহনের চালক আব্দুছ ছাত্তার বলেন, ‘সারাদিনে এই একটা ট্রিপ চালাতে পারবো। ভাড়া বেশি না নিলে মালিকের কাছে জমা দিয়ে কিছুই থাকবে না। আমাদের (কন্ডাক্টর ও হেলপার) তো চলতে হবে। ঘরে চাল না নিয়ে গেলে বউ-পোলাপান খাবে কী।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) থোয়ই অংপ্রু মারমা বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি এ রকম হয়ে থাকে তাহলে ইজতেমা ফেরত ঘরমুখো মুসল্লিদের কাছ থেকে যেন নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয় সে ব্যাপারে পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এখনই কথা বলবো।’