দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
মঞ্চ নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের ‘নাট্যজন সম্মাননা’ পাচ্ছেন বিশিষ্ট মঞ্চাভিনেতা, মঞ্চ নাটক নির্দেশক, মনো বিশ্লেষক নাটক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা।
দলটির ৩৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ৬ দিনব্যাপী নাট্য পার্বণ ২০১৯ এর উদ্বোধনী দিন আগামী ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য অধ্যাক ফারজানা ইসলাম। চট্টগ্রাম থেকে প্রথম বারের মতো কেউ এ সম্মাননা পাচ্ছেন। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান জানান, প্রতি বছর আমরা একজন নাট্যজন ও একজন গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান করে থাকি। এ বছর ৩৯ বারের মতো সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মঞ্চ নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য মোস্তফা কামাল যাত্রাকে এ বছরের ‘নাট্যজন সম্মাননা’ প্রদান করা হচ্ছে। মোস্তফা কামাল যাত্রা বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ১৯৮৮ সাল থেকেই গ্রুপ থিয়েটার চর্চার সাথে যুক্ত আছেন। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল যাত্রা বর্তমানে গ্রুপ থিয়েটার নাট্যাধারের সদস্য এবং এ পর্যন্ত ‘দাবি’ ‘শিখন্ডী কথা’ ‘স্মৃতি ৭১’, ‘উন্মাদ সাক্ষাৎকার’, ‘বীরাঙ্গনা সাক্ষাৎকার’, ‘ফুলজান’, ‘ভগা কাইন’, ‘কবিয়াল রমেশ শীল’, ‘হিড়িম্বা’, ‘ইউএসটিসি বধ্যভূমি’, ‘পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘চট্টল পুরান’, ‘চাঁন মনসার কাহন’, ‘মৃচ্ছ কটিক’, ‘চক্ষু দান’, ‘রাইফেল’, ‘লাইলী মজনু,’ ‘মন ভালো চশমা’ প্রভূতি নাটকগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন। মোস্তফাকামাল যাত্রা ‘ইউনিট থিয়েটার কনসেপ্ট’- ধারার নাট্যানুশীলনের প্রস্তাবক এবং অদ্যাবদী এই ধারার পরিচালিত নাট্যানুশীলনের কেন্দ্রিয় সংস্থা ‘ইউনাইট থিয়েটার’ তথা পরিবর্তীত নাম উৎস অর্থাৎ “ইউনাইট্ থিয়েটার ফর সোশ্যাল অ্যাক্শন্”এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী মোস্তফা কামাল যাত্রা ১৯৯৪ সাল থেকে মনোবিশ্লেষক নাট্যশৈলী ব্যাক্তিগতভাবে অনুশীলন করছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেই চর্চা উৎস’র তত্ত্বাবধানে বিগত দুই যুগ চালিয়ে আসছেন। উৎস এর অন্যতম মনোবিশ্লেষক থিয়েটার ইউনিট: ‘থিয়েটার থেরাপি সেন্টার ফর দি ডিজএ্যাবল্ড’ এবং ‘বাংলাদেশ থেরাপিউটিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট’ যথাক্রমে ২০০১ ও ২০০৬ সাল থেকেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মনোবিশ্লেষক নাট্যক্রিয়ার প্রয়োগ এবং দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশেষ করে মনোবিশ্লেষক নাট্য বিজ্ঞানের চর্চা, প্রচার, প্রসার, প্রয়োগ এবং বিদ্যায়তনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নে ও পাঠ নিশ্চিতকরণে অধিপরামর্শক হিসাবে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা বাংলাদেশের নাট্য ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে থাকবে।