
দেশচিন্তা ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে ছেনুয়ারা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। একই সময়ে স্থানীয় একটি দোকানের ছাউনিতে বিদ্ধ হওয়া আরও একটি গুলি উদ্ধারের তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে নিকটবর্তী লম্বাবিল গ্রামের বাঘঘোনা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছেনুয়ারা বেগম স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেনের স্ত্রী।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে গেছে, পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছেনুয়ারাকে প্রথমে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতের স্বামী মুঠোফোনে বলেন, ‘বাড়ি ফেরার পথে আমার স্ত্রীর পায়ে হঠাৎ গুলি লাগে, কক্সবাজারে এখন তার চিকিৎসা চলছে৷’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গুলি লাগার বিষয়টি সত্যি, সংশ্লিষ্ট বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। যেন জননিরাপত্তা কোনো কারণে ব্যাহত না হয় সেদিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ওপারে থাকা মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকা থেকে গুলির শব্দ মাঝেমধ্যে এপারেও শোনা যাচ্ছে।
সূত্রের দাবি ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর সংর্ঘষ চলছে।
স্থানীয় শিক্ষক রুহল আমিন বলেন, ‘সম্প্রতি ওপারে সংঘর্ষ বেড়েছে, আমরা সীমান্তবর্তী লোকজন আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।’
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না মিললেও বিজিবির দায়িত্বশীল একটি সূত্র থেকে ওপারে গোলাগুলি ও এপারের আহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


















