নরসিংদী সংবাদদাতা : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমিকবান্ধব দেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্রের নেতৃত্ব শ্রমিকবান্ধব মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্ব ছাড়া শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ বেদনা কেউ বুঝবে না।
তিনি নরসিংদীর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ২৯ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি শামসুল ইসলাম তালুকদার-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম, জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মো. মোসলেহুদ্দীন, উপদেষ্টা আমজাদ হোসাইন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক নুরুল আমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের জেলার সহ-সভাপতি আঃ রশিদ হাসেমী, কার্যনির্বাহী সদস্য মুজিবুর রহমান, ওমর ফারুক, মোঃ জাকারিয়া, আসাদুজ্জামান ও মোঃ ইউসুফ মিয়া প্রমুখ।
আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার দেশকে লুটপাট আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছ। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবাধে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। তারা আমেরিকা ইউরোপে বেগমপাড়া তৈরি করেছে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ওপর ভর করে। তারা এদেশের শ্রমিকদের পরিশ্রমের ফসলকে ছিনতাই করে নিজেরা অঢেল সম্পদের মালিক বনে গিয়েছে। আজকে তাদের অপকর্ম ও অঢেল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি এসব দুর্নীতিবাজদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিদেশে পাচারকৃত সকল টাকা ফেরত আনতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ আরেকবার স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য শ্রমিকদের সংগঠিত থাকতে হবে। এদেশের নেতৃত্ব শ্রমিকদের দ্বারা নির্ধারিত হতে হবে। শ্রমিকরা রাষ্ট্রের নেতৃত্ব বাছাই করবে। অসৎ নেতৃত্বের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া যাবে না। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে তাদের হাতে রাষ্ট্রের শাসনভার তুলে দিতে হবে।
শামসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে এদেশের শ্রমিক-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। পুলিশের গুলিতে বহু শ্রমিককে হতাহত হতে হয়েছে। যাদের হাতে শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হতাহত শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ভার রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে।