
সাতকানিয়া সংবাদদাতা : নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত নববর্ষে তারা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, ব্যবহার্য সামগ্রী ধোয়ামোছা করে এবং সকালে স্নানাদি সেরে পূত-পবিত্র হয়। এ দিনটিতে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা এবং ভালো পরতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করে।
নববর্ষে ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে।
মিষ্টি-পিঠা-পায়েসসহ নানা রকম লোকজ খাবার তৈরির ধুম পড়ে যায়। একে অপরের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় চলে। প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার মাধ্যমেও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়, যা শহরাঞ্চলেও এখন বহুল প্রচলিত।তারই ধারাবাহিতায় চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ’র ব্যতিক্রমী আয়োজন শুভ নববর্ষ উদযাপন।
আজ ১৪ এপ্রিল সকাল ১১ থেকে শুরু হয় চলবে রাত পর্যন্ত। সারাদিন নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও যাদুতে এওচিয়া ইউপি ছাড়াও কাঞ্চনা, মাদার্শা, মির্জারখীলসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দর্শকের আনাগোনা ভরপুর হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ।
এওচিয়া ইউপি তাতিঁলীগের সভাপতি কমল দাশের সঞ্চালনায় টেলিভিশন শিল্পী এম ছিদ্দিক, সানজিদা আফরিন চৌধুরী শর্মা, সাতকানিয়া উপজেলা শিল্পকলার শিল্পী শান্তা মল্লিক, যাদুশিল্পী নয়ন আচার্য, টুনটু ধর, অর্ক দত্ত, শ্রীজিৎ দাশ, অনিক দাশ, প্রমি দাশ, নৃত্যশিল্পী দ্বিপা দাশ।
এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ বলেন, বৈশাখী মেলা এই প্রথম শুরু করেছি আমার ইউনিয়নে। এলাকার লোকজন ছাড়াও আশপাশ অনেক দর্শকের সাড়া পেয়ে সত্যি আমি অভিভূত। আশাকরি এটি গ্রামের সিআরবিতে পরিণত করবো।এর ধারাবাহিতা প্রতিবছর রাখতে চেষ্টা করবো।
চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, আবু ছালেহ চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে এওচিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এইরকম আয়োজন বিরল। বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই আয়োজন প্রশংসিত উদ্যোগ।