
মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবদুর রশিদ খলিফার বাড়ীর দারুল ইসলামের একমাত্র ছেলে আতিকুল ইসলাম আকাশ (২৬) গত চার মাস পূর্বে পরিবার ও নিজের হাজারো স্বপ্ন নিয়ে দুবাই প্রবাসে গিয়েছিল।
চার মাসে কোন রকম চললেও গত ২৫ শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শেষ বারের মতো মায়ের সাথে যোগাযোগ হয়। এরপর কয়দিন ছেলের কোন ফোন না পেয়ে মা পাগলের মতো হয়। ছেলের খোঁজ নিতে এলাকার দুবাই যাদের ছেলে আছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলের খোঁজ নিতে থাকে। কোন খোঁজ খবর না পেয়ে মায়ের আহাজারি কান্না থামছে না দুবাই অবস্থানরত আতিকুলের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব খোঁজ খবর নিতে থাকে।
অবশেষ ২৯ শে জানুয়ারি তাদের নিকট আত্মীয় আসমান সিটি থানা যোগাযোগ করে। তখন সংযুক্ত আবর আমিরাত পুলিশের জানালো ২৬ জানুয়ারি জুমাবার আসমান সিটি পুলিশ রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করে। আতিকুলের বোন জামাই লাশটি দেখা মাত্র চিহ্নিত করে। আসমান সিটি থানায় দেশে ফিরিয়ে পেতে আবেদন করেন।
মহামান্য জনাব সাঈদ আবদুলহ আল সালামির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আজমান প্রসিকিউটরইরের নির্দেশে মৃত্যু ব্যাক্তির দেহ পরিক্ষা করার জন্য ফরেনসিক বিভাগকে আদেশ দেন। ন্যায় বিচারের সার্থে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিচার মন্ত্রণালয় ফরেনসিক রির্পোট পুলিশ ক্রিমিনাল ল্যাবরেটরি থেকে একটি রির্পোট পেয়েছে, যার নং ৭৭/শ ২০২৪ মৃত্যুদেহর পরিক্ষা করে আতিকুলের গত ২৬ জানুয়ারি মৃত্যু হতে পারে বলে জানান।
মৃত্যুর কারণ অন্তনিহিত চিকিৎসার অবস্থার জন্য দায়ী করা হয়েছে। ফলে কার্ডিয়াক এবং শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েছে বলে জানান ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মগদি আবদুল ফাত্তাহ আল শাজাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন । ২৯ জানুয়ারি তার চাচা হাসান করিম ও আবছার তাদের একমাত্র ভাতিজা আকাশের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
ছেলে মৃত্যুর খবর শুনে মা-বাবা ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। একমাত্র ছেলে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মায়ের কান্নার আহাজারি থামছে না। এখন পরিবারে একমাত্র চাওয়া ছেলের লাশটি কোন রকম দেশে আনার ব্যাবস্থা করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।