বান্দরবান প্রতিনিধিঃ ২৩ জুন বুধবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে জেলা ইমাম সমাজের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীতে বান্দরবান পৌরসভা এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের শতাধিক আলেম-মাওলানা, মাদ্রাসার ছাত্ররা অংশ নেয় মানববন্ধন কর্মসূচীতে একাত্ততা প্রকাশ করে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা অস্ত্রধারীদের গুলিতে শহীদ হওয়া ইমাম মো:ওমর ফারুকের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং পরিবাররের জন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করে দোয়া করেন।
বক্তব্যকালে বক্তারা বলেন পার্বত্য এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সাধারণ জনগণকে গুম হত্যার পাশাপাশি এখন ইমামদের হত্যা করা শুরু করেছে আর এভাবে চলতে থাকলে পার্বত্য এলাকায় অশান্তি বেড়ে যাবে। বক্তারা আরো বলেন ইমাম হত্যাকারীদের যথাযথ শাস্তি দাবি করে পাহাড়ী জনপদে বসবাসরত সকল সন্ত্রাসীদের মুলোৎপাটন, সকল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম সমাজের নিরাপত্তা প্রদানসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলাউদ্দিন ইমামী, বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক আল মঈন, বনরুপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আহমেদ তৌহিদ মাওলনা মুজিবুল হক প্রমুখ।
সম্প্রতি জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগাপাড়া এলাকায় এশারের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মসজিদের ইমাম মোঃওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে এই ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫ জন’কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধনে অংশ নেয়া ইমাম সমাজের প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ৯দফা দাবি জানিয়ে একটি আবেদন পত্র মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য যে গত ১৮ই জুন শুক্রবার রাতে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগাপাড়া এলাকার মসজদে এশারের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকরা মোঃওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে।