দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায় দিয়েছে। তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যে রায় দেওয়া হয়েছে তা ছিল ফরমায়েশী রায়। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেছে। যেমনটি বেগম খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। যেদেশের প্রধান বিচারপ্রতি সুবিচার পায় না, সেখানে কোন নাগরিকের সুবিচার পাওয়ার সুযোগ নেই। তারেক রহমান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশবাসী এ রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করছে তারাই জেনারেল মঈন ফখরুদ্দিনের মত মাইনাস হয়ে যাবে। তিনি আজ ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ২১ আগষ্ট মামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের মিথ্যা সাজা দেয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে ১১ জুন বর্তমান পুলিশের আইজি ও সিআইডির তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে কোথাও তারেক রহমান বা বিএনপির কারো নাম নেই। তার রিপোর্টে বলা হয়েছিল হরকাতুল জিহাদ, মুফতি হান্নানই পরিককল্পনাকারী, মৌলনা তাজ উদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহকারী, হামলার পরিকল্পনা হয় ১৯ আগস্ট। তাহলে নিজেদের আইজিপির প্রতিবেদনকেও অগ্রাহ্য করা দুরভিসন্ধিমূলক। ডা. শাহাদাত বলেন, মুফতি হান্নান প্রথম দফায় যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল সেখানে তারেক রহমানের নাম বলেন নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারেক রহমানকে এ মামলায় ফাঁসানোর জন্য নীলনকশা শুরু করে। মুফতি হান্নানকে ২য় দফায় দীর্ঘদিন রিমান্ডে রেখে নির্যাতন করে তথাকথিত ২য় স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ মামলায় ২২৫ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, একজন স্বাক্ষীও বলেন নি তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত। মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন রিমান্ডে নির্যাতন করার পরও বলেছে কোনদিন তার সাথে তারেক রহমানের দেখা হয়নি। বিএনপি এই রায়কে আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়েছে। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আদালতের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দেশের জনগণ এই ফরমায়েশি রায় মেনে নেয়নি। তিনি বলেন, কোন স্বাক্ষি সাক্ষ্য দেয়ার সময় তারেক রহমান বা বিএনপির কোনো নেতার নাম পর্যন্ত বলেন নি। এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাও রায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করতেই এই অপকৌশল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করো যাবে না। দেশের মানুষ সরকারের ষড়যন্ত্র বুঝে গেছে। আর বিএনপিও অবৈধ সরকারের কোন ষড়যন্ত্রে পা দিবে না। সরকার বিএনপিকে মামলার জালে ফেলে আর একটি একতরফা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে তা কখনো দেশের জনগণ পূরণ হতে দেবে না। বিএনপি সময়মত দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে অবৈধ সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে। জনগণের অধিকার আদায় করে নির্বাচনে যাবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ হারুন বলেছেন,তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। এ মামলায় তিনি ন্যায় বিচার পাননি। তারেক রহমান কোন অন্যায় করেন নি। তিনি এদদেশে গণতন্ত্র রক্ষা, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর অবস্থার অবসান ঘটে আইনের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এ রায় জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং সরকার তার একদলীয় শাসন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। তিনি এই রায়কে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামসহ সারদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা ও বাসায় তল্লাশী করে গণগ্রেফতার বন্ধ করার আহবান জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, ছৈয়দ আহমদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মীর্জা, আবদুল মান্নান, মনজুর আলম মঞ্জু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ শিাহব উদ্দিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির আলম, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসাইন, দিদারুল আলম চৌধুরী, থানা বিএনপি সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাইফুর রহমান, হানিফ সওদাগর, মো. সেকান্দর, ডা, নুরুল আবছার, সরফরাজ কাদের রাসেল, নগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো: সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো: ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো: শাহজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, আজাদ বাঙ্গালী, আবুল খায়ের মেম্বার, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুল হাই, আলী আজম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ভুলু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ আবদুল কাদের জসিম, মাঈনু উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মহামুদ, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন রাজু, আলী ইউসুফ, শাহেদা আকতার, মো. ইলিয়াছ, আতিয়া আকতার উষা, অঙ্গসংঠনের নেতৃবৃন্দ ম. হামিদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, শেখ রাসেল, এরশাদ হোসেন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আশাদুজ্জামান দিদার, জমির উদ্দিন নাহিদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, আবদুল্লাহ আল সগির, মনজুর আলম মনজু, মো: বেলাল, আশরাফ উদ্দিন, খন্দকার নুরুল ইসলাম, খাজা আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, মনজুরুল কাদের মনজু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, মোস্তাক আহামদ, মনজুর মিয়া, মো: হাসান ওসমান প্রমুখ।