দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর ফুলবাড়ি টার্মিনালে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমাবেশে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্চিত ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৮ অক্টোবর ২০১৮ গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব, সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এনামসহ নেতৃবৃন্দ বলেন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সড়ককে দুর্ঘটনামুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অতন্দ্র প্রহরী ইলিয়াস কাঞ্চন ভীত নন কোন হুমকীতে। একমাত্র আল্লাহই সকল ভাল মন্দের নিয়ন্ত্রক। তাই বাঞ্চিত/অবাঞ্চিত কোন কিছুই তার কাজে বাধা হবে না। তিনি সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবেন।
সারাদেশে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিসহ প্রায় ১২০টি শাখা সংগঠন ও বিদেশে প্রায় ৫টি শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা একযোগে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান সরকার ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক দুর্ঘটনারোধ করার লক্ষ্যে ১৭ টি নির্দেশনা দিয়েছেন। নিরাপদ সড়ক চাই সেই ১৭টি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়নসহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নিরাপদ সড়ক চাই কর্মীবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছে ও ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সভায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন নিজ গাড়িতে নিজ চালকের কারণে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে মারা যান। কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্য হল এই যে, ঐদিন জাহানারা কাঞ্চন হোটেল সোনারগাঁও থেকে ভাড়া করা একটি মাইক্রো নিয়ে বান্দরবানে স্বামী ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রামের অদূরে চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আর এই দুর্ঘটনাটি ঘটায় একটি ট্রাক। নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এসব মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং অনতিবিলম্বে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্চিত ঘোষণার বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।