করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ৩৮০ বিদেশি নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এদের মধ্যে অধিকাংশই কূটনৈতিক সদস্য। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।
ইতোমধ্যেই প্রায় এক মাস ধরে নিজেদের আবাসস্থলেই এক প্রকার বন্দী থাকতে হয়েছে প্রায় ২শ বিদেশি নাগরিককে। এই সময়সীমা শেষ হতে না হতেই কোয়ারেন্টাইনের সময় বাড়ানো হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭৬৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত কারো এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
বিদেশি নাগরিকদের কতদিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১ সেনা সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় প্রায় ৭ হাজার ৭শ সেনা সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর প্রায় ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অপরদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ এবং মৃতের সংখ্যা ৮।
চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার ১শ ৫০ জন। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ায় এখনও কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া না গেলেও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।চীনের সঙ্গে সীমান্তের কারণে সেখানেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের এক মাস ধরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সেখানে বর্তমানে পশ্চিমা নাগরিক আছে প্রায় দু’শো জন। অপরদিকে, বার্ষিক পিয়ংইয়ং ম্যারাথন বাতিল করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।