আজ : শনিবার ║ ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ║২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

২১শে ফেব্রুয়ারি:জাতিসংঘে বাংলা ফন্ট উদ্বোধন

একুশে ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) একটি বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেছে। এছাড়া, বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংস্থাটি তাদের গত বছরের (২০১৯) মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সার সংক্ষেপ বাংলায় প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এই বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেন। যা সবাই ইউএনডিপি’র ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সংস্থাটি জানায়, বাংলা বর্ণমালার যুক্তাক্ষর ও মাত্রাসহ অন্যান্য বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এই ফন্ট তৈরি করা হয়েছে।

ইউএনডিপি’র ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সার সংক্ষেপ বাংলায় রচনা করেছেন ড. সেলিম জাহান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিবেদন তৈরি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার পর সম্প্রতি অবসরে গেছেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই রিপোর্টে একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য আছে। তা হলো— নিম্ন আয়ের ঘরে একটি শিশু জন্মালে তার গড় আয়ু হবে ৫৯ বছর। আর উচ্চ আয়ের ঘরে জন্মালে ওই শিশুর গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াবে ৭৮ বছর। অর্থাৎ জন্ম থেকেই নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মধ্যে বৈষম্য শুরু হয়।’

বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পাঁচ থেকে ১০ লাখ কোটি ডলার তহবিল প্রয়োজন হবে। এর একটি অংশ সরকার সরবরাহ করবে। বাকি অংশ বেসরকারি খাত ও উচ্চ আয়ের দেশ এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ আয়ের দেশগুলো এখন স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশকে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহায়তা দিচ্ছে না।’
এই প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপির মতো সংস্থা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে তিনি জানান।

ইউএনডিপির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য অনেক দেশে জাতিসংঘের অর্থ অপচয় বা নষ্ট হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এর পরিমাণ অত্যন্ত কম। এ কারণে ইউএনডিপি বাংলাদেশে একটি সফল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’

বাংলা ভাষায় মানব উন্নয়ন রিপোর্টের লেখক সেলিম জাহানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সেলিম এখন অবসরে গেছেন। কিন্তু তিনি এখনও একটি সম্পদ।’

ড. সেলিম জাহান বলেন, ‘মানব উন্নয়ন রিপোর্ট প্রথম উদ্বোধন হয় ১৯৯০ সালে। এর পরের বছর এই রিপোর্ট বাংলায় প্রকাশিত হয়,সেটিরও রচয়িতা ছিলাম আমি।’

বাংলাদেশের জন্য প্রতিবছর সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নিজস্ব সম্পদ।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ