বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে ভাইদের হামলায় আরেক ভাই নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম ফরিদ খান। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী অপর তিন ভাইসহ চার জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহত ফরিদের ভাই শাহ আলম খান ও মফিজুল ইসলাম নান্না খানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. আনিছুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী রোজী বেগম বাদী হয়ে শাহ আলম খান ও মফিজুল ইসলাম নান্না খান, মজিবর রহমান খান ও ভাড়াটিয়া সোয়েব সিকদার আজাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত ফরিদ ও মামলার আসামি তিন ভাই নগরীর শীতলাখোলা এলাকার মৃত ঠিকাদার মজিদ খানের ছেলে। ১০ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ফরিদ খান ছিলেন সপ্তম।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, পারিবারিকভাবে পাওয়া একটি স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তিন ভাই ও ভাড়াটিয়া মিলে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে ফরিদকে হত্যা করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ফরিদ মারা যাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে শাহ আলম ও নান্নাকে আটক করা হয়। নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’ ওসি আরও জানান,আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, পারিবারিকভাবে ফরিদকে বাড়ির সামনের একটি স্টল দেওয়া হয়। ওই স্টলের ভাড়া আদায় করে আসছিলেন ফরিদ। সম্প্রতি তার অন্য ভাই শাহ আলম ওই স্টলের ভাড়া আদায়ের উদ্যোগ নেন। তিনি ভাড়াটিয়া আজাদকে নিষেধ করে দেন, ফরিদকে যেন ভাড়ার টাকা না দেয়। শনিবার সকালে ওই স্টলের ভাড়া আনতে যান ফরিদ। এ নিয়ে ভাড়াটিয়া আজাদের সঙ্গে ফরিদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মামলার আসামি তিন ভাই এবং ভাড়াটিয়া আজাদের ইটের আঘাত এবং কিলঘুষিতে ফরিদ সড়কে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশিরা তাকে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন।