
চাঁদপুরে সন্ধ্যার পর উচ্চ স্বরে গান ও মাইক বাজানো বন্ধ রাখার নির্দেশচলমান। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে চাঁদপুরে সন্ধ্যার পর উচ্চ স্বরে গান ও মাইক বাজানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর ফলে গত দুই দিন সন্ধ্যার পর জেলা শহর ও উপজেলায় মাইক বাজতে দেখা যায়নি। এতে করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রাতে বিভিন্ন স্থানে উচ্চস্বরে মাইক ও ডেকসেটে গানবাজনা চলে। এতে করে পড়ালেখায় সমস্যার সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের। তাই পরীক্ষার সময়ে উচ্চ স্বরে গানবাজনা ও মাইকিং বন্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান এক অভিভাবক। এরপরও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুবিধার্থে চাঁদপুর জেলা শহর ও উপজেলায় সন্ধ্যা ৬টার পর গানবাজনা, উচ্চ স্বরে ডেকসেট ও মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করে প্রশাসন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা সম্বলিত লিখিত বার্তায় জানানো হয়, এই নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদপুরের এএসসি পরীক্ষার্থী মাসিয়াত ও হাসিনা জানায়, রাতের বেলা মাইক চলায় তাদের লেখাপড়ায় সমস্যা হতো। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তারা খুশি। সবাই যেন এটা মেনে চলেন।
চাঁদপুর হাসান আলী স্কুলের শিক্ষক আবিদা হোসেন বলেন, ‘সারা বছর পড়ালেখা করে এসএসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এটা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সন্ধ্যার পর মাইকিং হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখা অসুবিধা হয়। তাই সন্ধ্যার পর মাইকিং বন্ধে আমাদের প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়।’
অভিভাবকরা বলছেন, শুধু চাঁদপুরেই নয়, সারাদেশে এই নিয়ম চালু হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে গত চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেখা যাচ্ছে পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় রাতে উচ্চস্বরে গানবাজনা বাজানো হয় এবং মাইকিং হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অসুবিধা হয়। এ কারণে রাতে উচ্চস্বরে গানবাজনা এবং মাইক ব্যবহার করা যাবে না মর্মে আমরা একটি চিঠি জারি করি। আসলে মাইক ব্যবহার আমরা নিষিদ্ধ করিনি। বলেছি, যারা এসব ব্যবহার করবেন- এটি যেন তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আশপাশের অন্য কারও অসুবিধা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দিত। কারণ, আমাদের এ চিঠি জারির পর জেলা শহর এবং উপজেলাতেও গত দুই দিন উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর কোনও অভিযোগ পাইনি। মানুষ এটিকে পজেটিভভাবে নিয়েছেন।