আজ : সোমবার ║ ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দিশেহারা মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন ইমামুল আউলিয়া গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (রা.)

দেশচিন্তা ডেস্ক: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ইং রোজ সোমবার চট্টগ্রাম মুরাদপুরস্থ কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তন, এলজিইডি ভবনে আনজুমানে কাদেরীয়া চিশতীয়া আজিজিয়া বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় গাউছে যমান, আল্লামা মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ.) এর প্রতিষ্ঠিত মাহবুবে সোবহানি, গাউছে ছামদানি, ইমামুল আউলিয়া, গাউসুল আযম হযরত শাইখ সৈয়দ মুহিউদ্দিন আবু মুহাম্মদ আবদুল কাদের জিলানি (রা.)’র স্মরণে ইমামুল আউলিয়া গাউসুল আযম কনফারেন্স পীরে তরিকত, দরবারে কাদেরীয়া চিশতীয়া আজিজিয়া সাজ্জাদানশীন, ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসূফি আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আল্-কাদেরী (মা.জি.আ)’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী। এসময় মাওলানা কাজী শফিউল আজম আল কাদেরীর সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল হাদীস আল্লামা সোলাইমান আনসারী, অধ্যক্ষ আল্লামা অছিউর রহমান আল কাদেরী, আল্লামা জয়নাল আবেদীন জুবাইর, আল্লামা আবুল এরফান হাশেমী, আল্লামা কাজী শাহেদুর রহমান হাশেমী, আল্লামা সৈয়্যদ মছিহুদ্দোলা, আল্লামা আবুল কাশেম নূরী, আল্লামা খলিলুর রহমান নেজামী, আল্লামা শফিউল আলম নেজামী, আল্লামা কাজী ছালেকুর রহমান কাদেরী, আল্লামা ড. এ.কে. মাহবুবুর রহমান, ড. জালাল উদ্দিন আজহারী, ড. জাফর উল্লাহ, আল্লামা সৈয়্যদ বদরুল হক আল কাদেরী, আল্লামা আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা মুহিউদ্দীন হাশেমী, অধ্যক্ষ আল্লামা ইসমাইল নোমানী, অধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম রেজভী, মুহাম্মদ আবদুল অদুদ আল কাদেরী, মাওলানা মুফতী জিল্লুর রহমান হাবিবী, অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ আলম, মাওলানা আব্দ্ন্নুবী হক্কানী, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ মহী উদ্দীন তাহেরী, মাওলানা ইউসুফ বাহার যুক্তিবাদী, শাহজাদা মুহাম্মদ গোলাম মুঈনুদ্দীন, এ.কে.এম ইউসুফ প্রমুখ। ইমামুল আউলিয়া গাউসুল আযম আবু মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন, শেখ সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী কেবল দ্বীনের সংস্কারক ছিলেন না বরং ইসলাম বা দ্বীনে ইসলামের একজন পুনরুজ্জীবনকারীও ছিলেন। তাই তিনি ‘মুহিউদ্দিন’ বা দ্বীনের পুনরুজ্জীবনকারী হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কারণ তিনি এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হন যখন ভিন্নধর্মী দর্শন মুসলিম শিক্ষা ও চিন্তার জগতকে দারুণভাবে বিভ্রান্তির কালো থাবা বিস্তার করে ফেলছিল। শিরক, কুফর ও বিদআত নিত্য নবরূপে সঞ্চারিত হচ্ছিল মুসলিম মননে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। তাওহীদ ও রিসালতের পথ থেকে কেউ কেউ ছিটকে পড়ার উপক্রম হচ্ছিল। অন্যদিকে খ্রিস্টান জগত তদানীন্তন মুসলিম দুনিয়াকে ধ্বংস করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে উঠেছিল। সেই সময় উম্মতে মুহাম্মদীকে সঠিক পথের দিশা দেবার জন্য তাঁর মত একজন মুজাদ্দিদের, একজন পথ প্রদর্শকের, একজন মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। একজন মহান গাউস, একজন গাউসুল আজম, একজন দ্বীনকে পুনর্জীবিতকারী তথা মুহিউদ্দীন হয়ে তিনি আবির্ভূত হলেন। এমনি সময়ে হযরত বড়পীর সঠিক ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন তাই তিনি ‘মুহিউদ্দীন’ উপাধিতে ভূষিত হন। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানব জাতির হেদায়তের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে এ ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটলেও হেদায়তের দ্বার সদা উম্মোচিত ছিল, কখনও বন্ধ হয়নি। আওলাদে রাসূল, আউলিয়ায়ে কেরাম ও সত্যিকার নায়েবে রাসূল ওলামাগণ কাল-কালান্তরে হেদায়তের প্রজ্জ্বলিত এ মশালকে সদা অনির্বাণ রাখার জন্য সচেষ্টায় ছিলেন এবং আছেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আল্-কাদেরী (মা.জি.আ) উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এতে অসংখ্য অলি প্রেমিক মুসলমান, বুদ্ধিজীবী, ইসলামি চিন্তাবিদ এবং সাংবাদিক উপস্থিত হয়। পরিশেষে মিলাদ কিয়াম, দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত এবং তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে উক্ত কনফারেন্স সমাপ্ত হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ