দেশচিন্তা ডেস্ক:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তাদের অনেকের গুণগাঁথা ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরবর্তী সরকারগুলোর নেতীবাচক কর্মকান্ড ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইতিহাসের সত্য কাহিনী গুলো বিকৃতি হয়েছে বা বিনষ্ট হয়েছে। স্বাধীনতার মূল্যবোধে তারা বিশ্বাসী ছিলনা বলে এই সত্য প্রকাশে অনাগ্রহ ছিল। চন্দনাইশের বরমা হতে উঠে আসা মেধাবী ছাত্র শহীদ মুরিদুল আলম সেদিন তার মেধা ও সাহস দিয়ে কর্মী গড়ার কারীগর হিসাবে ছাত্রলীগকে আদর্শ ও ত্যাগের মহীমায় উজ্জিবীত করেছিলেন। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগ করার অপরাধে পুলিশী হয়রানী ও পিতার শাসনকে তিনি উপেক্ষা করে রাজনীতি করেছেন। চট্টগ্রাম কলেজের প্রথম জি এস নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসীপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বিজয়ের কিছুদিন আগে তাকে নৃশংসজনক ভাবে হত্যা করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছিলেন। ৬ দফা কর্মসূচী ইংরেজীতে অনুবাদ করে তিনি এম এ আজিজের মাধ্যমে তা প্রচারের ব্যবস্থা করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হতে বঙ্গবন্ধু মুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম এলে মুরিদুল আলমের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও লেখনীর পরিচয় পেয়ে তাকে প্রাইভেট সেক্রেটারী করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন। মুরিদুল আলমের অনীহার কারনে তা হয়নি। শহীদ মুরিদুল আলম সেই কঠিন দুঃসময়ে ছিলেন রাজনীতির বাতিঘর। তার মতো প্রজ্ঞাবান ও গৌরববানদের মৃত্যু নেই। আমরা তার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শুভ ইচ্ছায় আজকের এই স্মরণ সভার আয়োজন করেছি। আজ ৬০ দশকের কিংবদন্তী ছাত্রনেতা, ৬২’র ছাত্র আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, মেধাবী রাজনীতিক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক, বীর শহীদ মুরিদুল আলমের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, অসম্ভব ভদ্র, ন¤্র, রাজনীতি সচেতন, দেশের প্রতি ভালবাসার অনন্য উদাহরণ তিনি রেখে গেছেন। আজ তাঁর মত আদর্শ ও চরিত্রবান নেতার অভাব। দলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে মুরিদুল আলমরাও বেঁতে থাকবে। দলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে মুরিদুল আলমদের মতো নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তিনি বেঁচে থাকলে একজন জাতীয় নেতায় পরিণত হতেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড: মির্জা কছির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব আবু জাফর, ধর্ম সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, উপ দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়–য়া, সদস্য নাছির আহমদ, এ কে আজাদ, মরহুমের সন্তান মাহবুবুর রহমান শিবলী, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম আতিক, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন পাপ্পু, শাখাওয়াত হোসেন সিবলী, আবদুল কাদের বাবুল, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নিলুফার জাহান বেবী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তাহের, সহ-সভাপতি মো: আলী, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, তানভীর চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আবু বকর জীবন ও মো: শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।