দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন পিতা-মাতার যথাযথ পরিচর্যায় সন্তান শিক্ষিত ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে।তাই তাদের প্রতি সন্তানের নিখাদ শ্রদ্ধা থাকলে নিজের জীবন পরিপূণ হতে পারে। স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষার্থী তারা প্রত্যেকেই পিতা মাতার কারণেই পাঠ গ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। এই জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পিতা মাতার প্রতি কর্তৃজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন সিটি মেয়র।
তিনি ২ জানুয়ারি বুধবার সকালে নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজে বিনামুল্যে বই বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া। সভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল হক উিউক , আয়ুববিবি স্কুল প্রতিষ্ঠাতা লায়ন হাকীম আলী এবং বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্যদের সদস্য আলহাজ্ব এম.এ মারুফ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে কর্ণফুলী উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরেজ,বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক মাষ্টার হাফেজ আহমদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিচালনা পর্যদের সদস্য রাহেলা বেগম রেজাউল করিম ও শ্যামা প্রসাদ বিশ্বাসসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আজ আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার ৭২২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮হাজার ২৮০টি বিনা মুল্যে বিতরণ করা হয়। সিটি মেয়র বলেন,একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পারে আলোকিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন সু-নাগরিক সৃষ্টি করতে। আমাদের সমাজে নীতি-নৈতিকতার যে অবক্ষয় চলছে, তা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। এটা আমাদের শঙ্কিত করে। একজন শিক্ষার্থী শুধু ভাল ফলাফল করলে চলবেনা, তাকে পরোপকারী ও নিজ গুণে গুণান্বিত হতে হবে। এই প্রসংগে মেয়র বলেন, সরকার আলোকিত নাগরিক সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা খাতে ভর্তূকি দিয়ে প্রতি বছর কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিণামুল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে। যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এই কমসূচীর আওতায় দেশের ৪ কোটি ২৬লক্ষ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামুল্যে ৩৫ কোটি ২১লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৮২টি নতুন বই প্রদান করেছে সরকার। এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদীক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা । সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন এর ফলে দেশে শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বেড়েছে। ১০ বছর আগেও যেখানে বাংলাদেশর সার্বিক সাক্ষরতা হার ছিল অর্ধেক জনগোষ্ঠিরও কম। সেখানে বর্তমানে তা দুই-তৃতীয়াংশে ওঠে এসেছে। অথাৎ ২০০৮ সালে দেশের সাক্ষরতা হার ছিল ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ । আর এ হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে মাঝ-বয়সী জনগোষ্ঠির পাশাপাশি বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যেও শিক্ষার আওতা বেড়েছে ।এই কর্মসুচি অব্যহত থাকলে শতভাগ মানুষ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে বলে মেয়র প্রত্যাশা করেন। পরে মেয়র শিক্ষার্থীদের হাতে সরকার প্রদত্ত নতুন পাঠ্যবই তুলে দেন।