আগরতলা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্র ও ভারতের আগরতলার সপ্তপর্ণার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শত তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসুচীর অংশ হিসেবে আগরতলা ত্রিপুরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু মেধা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় আগরতলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. বিথীকা চৌধুরীর সভাপতি রবীন্দ্র পরিষদের দক্ষিণী গৃহে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারি হাই কমিশনার শ্রী কিরীটি চাকমা। উদ্ধোধক ত্রিপুরা বিধান সভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ শ্রী পবিত্র কর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপ্তপর্ণার সম্পাদক সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলার প্রাক্তনমন্ত্রী শ্রীযুক্ত ব্রজগোপাল রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যক্ষ শেখ এ. রাজ্জাক রাজু, আগরতলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. প্রণকি মোদক সাহা, ড. আশীষ ভট্টাচার্য, বিজয় ৭১ এর সভাপতি নাট্যজন সজল কান্তি চৌধুরী, সাংবাদিক সুজিত কুমার দাশ, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের আহবায়ক বাবুল কান্তি দাশ, সচিব আসিফ ইকবাল, আগরতলা বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ড. দেবব্রত দেবরায়, রবীন্দ্র সংগীত বিশেষজ্ঞ সুবিমল চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী মিনাল পালি দেব, শারদাঞ্জলী ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি অজিত কুমার শীল, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সদস্য বিজয় শংকর চৌধুরী, সংগঠক ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আরিফুর রহমান, সংগঠক সুমন চৌধুরী, মনজুরুল আলম রিমু, আগরতলার বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী স্বর্ণিমা রায় চৌধুরী, সাহিত্যিক রাখাল মজুমদার, কবি ঝর্ণা চৌধুরী, সোমা মজুমদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আগরতলা বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী সংগীতা চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের ৪৮তম মহান বিজয় দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি স্বাধীর রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে আমরা এখন এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দেশপ্রেম পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালী নয় বিশ্বের সকল মানুষের প্রেরণাদায়ক নেতা ছিলেন। যার অসাধরণ প্রাজ্ঞসম্পন্ন নেতৃত্ব আমাদেরকে সবসময় প্রেরণার বাতি দেখায়। তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্র ও আগরকলার স্বপ্তপর্ণার যৌথ উদ্যোগে ত্রিপুরার ১৮জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু মেধাশিক্ষাবৃত্তির উদ্যোগকে একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন। আগরতলায় বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের মাধ্যমে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রচলন রাখার আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশ ভারতের দুদেশের ভ্রাতৃত্বপুর্ণ সম্পর্ক সবসময় সহায়ক এবং আন্তরিকপুর্ণ বলে অভিজিত করেন। তিনি দুদেশের মধ্যেকার সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিদসহ সুধীবৃন্দের মেলবন্ধন আরো সুদৃঢ় করার আহবান জানান। সভার উদ্ভোধক বলেন বাংলাদেশকে আমরা নিজেদেরই দেশ মনে করি। দুদেশের মানুষ কাটাতারে আবদ্ধ হলেও মননে আর স্বভাবতই আমরা বাঙালী। আর আমরা নিজেদেরকে বাঙালী পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। তিনি বলেন আজকে বাংলাদেশ ভারতের যৌথ বঙ্গবন্ধু মেধা শিক্ষাবৃত্তির আয়োজন তা আমাদেরকে প্রাণিত করেছে। ১৯৭১ সালে ভারতবর্ষ বাংলাদেশের পাশে ছিল। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপুর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে সবসময় সহায়ক হিসেবে আন্তরিকতার পাশে দাঁড়ায়। আর এই বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীতে অনুকরণীয়। তিনি দুদেশের সকল সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবীদেরকে আরো সৃজনশীল কাজ করার আহবান জানান। সভার শুরুতে বাংলাদেশের ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও দুদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সভা শেষে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ১৮জন মেধাবীশিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু মেধা শিক্ষাবৃত্তিরর সনদ, নগদ টাকা ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।