আজ : সোমবার ║ ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে: সিইসি

দেশচিন্তা ডেস্ক: নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব যেহেতু আমাদের হাতে, সেহেতু ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমরা আমাদের দিক থেকে পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী যাদের যা করার আছে—সব জায়গায় আমরা সাপোর্ট দিই এবং তাদের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকে। তারাও খুব কো-অপারেটিভ থাকে সব সময়ই। তারা আমাদের দিক থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সবসময় আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

‘মব’ নিয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের প্রশ্ন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘উনি জানতে চাইলেন যে, ইলেকশনের সময় কোন পার্টির উপরে যদি মব সৃষ্টি হয় তাহলে কী হবে। আমি বললাম ইলেকশন তো এখনো দেরি আছে। ইলেকশনের সময় যখন ৩০০ কনস্টিটিয়েন্সিতে একদিনে ইলেকশন হবে তখন তা ৩০০ জায়গায় ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করে ওরা দেখবেন যে যার যার কনস্টিটিসিতে চলে গেছে। একসাথে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না, ঢাকা শহর খালি হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করতে চাইবে তারা সুবিধা করতে পারবে না।

সিইসি বলেন, অতীতে যেমন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। এই আস্থার জায়গা থেকে আমি উনাকে বলেছি যে- ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এই অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। আমরা বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের আশঙ্কার কথা শুনেছি, কিন্তু যখন নির্বাচন এসেছে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। কারণ নির্বাচনের সময় সবাই চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হোক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা কথা তিনি (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ফাঁক দিয়ে বলেছেন গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ব নিয়ে। আমি বলেছি এই দেশটা গুজবের দেশ। তিনি আবার গুজবটা দূর করতে চান। আমি গুজব কানে না নিতে বলেছি। আমরা পুরো নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছি।

সিইসি বলেন, ভোটের দায়িত্বে ৯৫ শতাংশ সরকারের লোক আর ৫ শতাংশ ইসির তিনি (ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন) এমন বলেছেন। আমি বলেছি সরকার ৯৫ শতাংশ যদি রেজাল্ট নিজের দিকে আনে এটা একটা… আরেকটা হলো আমাদের ৯৫ শতাংশ জনগণের পক্ষে। এটা সৎ উদ্দেশ্যে। অতীতে এটা অপব্যবহার হয়েছে। উনি বলেছেন এটা ঠিক। আমি বলেছি সরকারকে বাদ দিয়ে ভোট সম্ভব নয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী লাগবে, বাজেট লাগবে, উনাদের সহযোগিতা ছাড়া ভোট সম্ভব নয়। ৯৫ শতাংশ সরকারের লোকবল রেজাল্ট নিজেদের পক্ষে নিচ্ছেন না কেননা, সরকার প্রধান কোনো দলের না। তিনি স্বাধীনভাবে ইসি যেন কাজ করতে পারে, সে সহযোগিতা করেছেন, সেটাও জানিয়েছি। আমরা সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া সহযোগিতা পেয়েছি।”

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা সমঝোতা আসবে বলে আশা ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, আমার ধারণা হলো রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থ সবার উপরে বিবেচনায় রাখবেন। দলগুলো দেশের স্বার্থে কাজ করেন দেশের কথা চিন্তা করে কাজ করেন এবং শেষ পর্যন্ত গিয়ে দেখবেন যে একটা পজিশনে এসে যায়। আমি উনাকে বলেছি যে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেখবেন আপনি শেষ পর্যন্ত একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ আসবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ