দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
সরকারের অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত হবে দেশ। এ ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম নগরীতে ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহযোগিতায় ‘পিপলস জুবিলান্ট এনগেজমেন্ট ফর টোবাকো ফ্রি চিটাগাং সিটি’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীকে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য তামাকমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে বিটা। সহযোগী সংগঠন হিসেবে আছে ক্যাব এবং ইলমা। আজ ১৯ নভেম্বর সোমবার বিকেলে বিটার আয়োজনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কে. বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে প্রকল্পের অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ইলমার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা পারুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটিএফকে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শরিফুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কনজ্যুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর প্রেসিডেন্ট নাজের হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ধূমপান ও তামাকের কুফলের সামগ্রিক দিক নিয়ে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রদীপ আচার্য্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, আমি নিজে একজন অধূমপায়ী মানুষ। তাই ধূমপান ও তামাক মুক্ত নগর গড়তে আমার ব্যক্তিগত ও চসিক এর পক্ষ থেকে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা করা হবে। তিনি বলেন তামাক ও ধূমপানের সামান্যতমও কোন উপকারিতা আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের শুধু এধরনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ধূমপান ও তামাকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানান। তাহলেই দেশব্যাপী একটি জনমত গড়ে উঠবে। মেয়র স্কুল পর্যায়ে ধূমপান-তামাকের অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ করে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তাদেরকে দাবি হিসেবে তোলার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি বলেন আপনাদের এ কর্মসূচি ও প্রকল্প সময়োপযোগী। এটার বাস্তবায়নে আন্তরিকতার প্রয়োজন। তাহলেই এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে।