
দেশচিন্তা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ নামে মাত্র তিনজন নিয়ে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতি বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মাহমুদুল হাসান ও সদস্য পদে তালহা নেগাবান।
রবিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী জান্নাতি বুলবুল সাত দফা অঙ্গীকারের ঘোষণা দেয়। অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী আদিপত্য, লেজুড়বৃত্তি ও রাজনৈতিক দাপটমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, গেস্টরুম নির্যাতন, সন্ত্রাস, দলবাজি, চাদাবাজি মুক্ত বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস গঠন।
বাকি অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত আবাসন, পুষ্টিকর খাবার ও ভাতা নিশ্চিত করা; প্রথম বর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের তত্ত্বাবধানে হলে বৈধ সীট বরাদ্দ নিশ্চিত করা, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা ও বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “আগামী ২৬ আগস্ট মনোনয়ন চূড়ান্ত হবার পর আমরা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রস্তুত করছে।”
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, সংখ্যার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কমিটমেন্ট এবং বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি দেশের প্রতি আমরা যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি, তার প্রতিটি শব্দ এবং তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমরা বিশ্বাস করি।
এই নারী ভিপি প্রার্থী বলেন, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৩ সালে তিনজন মিলে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ বপন করেছিল। যাদের নেতৃত্বে পরবর্তীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, পল্টন ময়দানে পাঠ করা হয়েছিল স্বাধীনতার ইশতেহার। ২০২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর হাত ধরেই, যা পরবর্তীতে এই অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।