
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ায় তোফায়েল আহমেদ ছিদ্দিক (৩২)কে চিংড়ি ঘের থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। নিহত তোফায়েল আহমেদ কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহঘোনার ছিদ্দিক আহমেদ মাতব্বরের পুত্র এবং ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা।
২৪ আগস্ট (রবিবার) ভোরে কালারমারছড়ার অফিসপাড়ায় প্রধান সড়কের পাশে তার লাশ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। পরে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে লাশ সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চকরিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- ২৩ আগস্ট (শনিবার) রাত ১০টার দিকে কালারমারছড়ার পশ্চিমে ‘আট জইন্যা’ ও ‘পনের জইন্যা’ চিংড়ি ঘেরে ২০-৩০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত হামলা চালায়। তারা চিংড়ি প্রজেক্টের কর্মচারীদের মারধর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ লুটপাট করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তোফায়েলকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
তোফায়েলের পরিবার বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা কামনা করে। নিহতের ভাই সরওয়ার আজম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাতেই বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালান তাকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু ভোরে সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন ও গুলি করে তোফায়েলের লাশ কালারমারছড়ার প্রধান সড়কে ফেলে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই সরওয়ার আজম ছিদ্দিক বলেন- আমার ভাই তোফায়েলকে চিংড়ি ঘের থেকে তারেক চেয়ারম্যান, কালা বদা, লম্বা তারেক, রশিদ, বায়তুল্লাহ, গফুর, জয়নাল, রবি আলম, কালা জাহাঙ্গীরসহ ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক বলেন- আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। তার লাশ বর্তমানে চকরিয়া হাসপাতালে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।