
অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে অবশেষে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল ক্যারিবীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার পাশাপাশি প্রায় ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতল দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
১৯৯১ সালের পর পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার রিচি রিচার্ডসনের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল তারা। এবার পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারাল ক্যারিবীয়রা।
ত্রিনিদাদে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ওয়ানডেতে এই নিয়ে চারবার দুইশ বা এর বেশি রানে জিতল ক্যারিবিয়ানরা। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে এই ম্যাচের চেয়ে তাদের বড় জয় আছে আর একটিই, ২০১৪ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৩ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই জয়ের নায়ক অধিনায়ক শেই হোপ। ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৪ বলে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পান ৩১ বছর বয়সি ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যদিও ছিল মন্থর। প্রথম ৩০ ওভারে স্বাগতিকদের রান ছিল মাত্র ১১০। পরের ১০ ওভারে আসে ৬৫, শেষের ১০ ওভারে ১১৯।
হোপের সঙ্গে জাস্টিন গ্রেভসের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে জুটিতে ১১০ রান আসে মাত্র ৫০ বলে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রেভস।
জবাব দিতে নেমে জর্ডান সিলসের তোপের মুখে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। দুর্দান্ত প্রথম স্পেলে পাকিস্তানের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেয়া ২৩ বছর বয়সি এই পেসার ১৮ রানে শিকার করেন ৬ উইকেট। দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান।
পঞ্চম উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন সালমান আগা ও হাসান নাওয়াজ। শেষ পর্যন্ত এটিই হয়ে থাকে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন সালমান।
নাসিমকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন সিলস। পরের ওভারে হাসানকে বোল্ড করে ষষ্ঠ উইকেটের দেখা পান তিনি। ওই ওভারেই আবরারের রান আউটে ম্যাচের সমাপ্তি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়ের আনন্দ। সিলস ৬ উইকেট ছাড়াও গুতাকেশ মোতি ২টি এবং রোস্টন চেজ পেয়েছেন একটি উইকেট।