আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২০শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে।

ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।

বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ কয়েকটি চর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ হচ্ছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। নদীবেষ্টিত চর ও চরের গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছেন।

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল থেকে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানি আরও বাড়তে থাকায় আমরা সব স্লুইসগেট খোলা রেখেছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ