
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমির উদ্দিন নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এসময় তারা নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা এবং ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বোধামাঝি ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তাদের মারধরের শিকার হয়ে চারজন গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত আনজু মিয়ার ছেলে, আবুল কালাম (৬০), আবু তালেব (৫৮), জমির উদ্দিন (৪৪) এবং আবুল কালামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৫)। আহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আবুল কালামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী জমির পেকুয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আমি একজন প্রবাসী। এজাহারের ৬ নম্বর আসামি আমার স্ত্রী ফাতেমা জিসান (২৫)। আমাদের সংসারে দুইজন ছেলে সন্তান রয়েছে। আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় যাবতীয় টাকা আমার স্ত্রী ফাতেম জিসানের কাছে পাঠাতাম। কিছু দিন আগে আমি প্রবাস থেকে এসে জানতে পারি সে আমাকে গোপনে তালাকনামা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি প্রবাস থেকে আসার পর সে আমাকে নানাভাবে হুঁমকি দিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে হঠাৎ তার নেতৃত্বে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন, মো. আজিজ, গিয়াস উদ্দিন, আবুল কাশেমের ছেলে চাঁদ মিয়া, গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী শওকত আরা সহ ১০-১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে।
এ সময় তারা আমার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা এবং ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। আমি ও আমার ভায়রা এতে বাঁধা দিলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, কিরিচ দিয়ে আমাদের নির্দয়ভাবে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আমাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ততক্ষণে তার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগী প্রবাসী এজাহার জমা দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
















