
দেশচিন্তা ডেস্ক: সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার যে লক্ষ্যে গত প্রায় দু’বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), তা অর্জন করা ইসরায়েলের পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে করেন না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ প্রসঙ্গে নিজের মতাদর্শিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমরা কেউই (২০২৩ সালের) ৭ অক্টোবরের ঘটনা ভুলে যাইনি। সেদিনের হামলায় ইসরায়েলিদের পাশাপাশি আরো কয়েকটি দেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকরাও ছিল।”
“ওই ঘটনার পর হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় দুই বছর ধরে অভিযান চলছে, কিন্তু ফলাফল কী? হ্যাঁ, গত দু’বছরে হামাসের শীর্ষ নেতারা নিহত হয়েছে এবং এটি একটি বড় অর্জন; কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্য যে এখনও হামাসের হাজার হাজার যোদ্ধা জীবিত আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে অগ্রসর হওয়ার সঠিক পথ এটা নয়। সামরিক পদ্ধতিতে এগোলে এই সংকটের সমাধান হবে না।”
“লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন সর্বাত্মক ও বহুমুখী কূটনৈতিক তৎপরতা। গাজা সংকটের সমাধান করতে হলে সেখানে বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ অবাধ রাখতে হবে এবং সর্বোপরি, গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) নীতি বাস্তবায়নের দাবিতে বৈশ্বিক সম্মেলন করেছে ফ্রান্স এবং ইসরায়েল।
সেই সম্মেলনে এবং সম্মেলনের আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র সেই সম্মেলন বয়কট করেছে।
সূত্র : সিএনএন