নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :
আনন্দ-বেদনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বিদায় দেয়া হলো দুর্গতিনাশিনী দুর্গাকে। এর মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হলো এবারের বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
আগামী বছর ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে ভক্তরা সজল চোখে বিদায় দিয়েছেন মা দুর্গাকে। ঢাকের বাদ্যের সাথে নাচ, সিঁদুর উৎসব আর ধান-দুর্বা ও মিষ্টি-আবির দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানোর পালা শুরু হয় দুপুর থেকে। মহালয়ায় দেবীপক্ষের শুরুতে যাকে আবাহন করা হয় দশমীতে সে দেবী দুর্গাকে বিদায় দেয়া হয়। দেবী দুর্গা এবার হাতির পিঠে চড়ে বিদায় নিচ্ছেন। শাস্ত্র মতে, এতে দেশ হবে ফল-ফুল-শস্যে পরিপূর্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, অসুরশক্তি বিনাশিনী দেবীর পূজায় সকল অপশক্তি পরাভব মানে। পাঁচ দিনব্যাপি দুর্গোৎসবের শেষ দিনে সকালে মন্ডপে মন্ডপে দশমীর বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসব, বিষাদ আর নানা রকম আয়োজনের মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায়চ ট্টগ্রামের চন্দনাইশে পালিত হয়েছে বিজয়া দশমী। আজ ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে দুর্গা প্রতিমা পার্শ্ববর্তী নদী, পুকুর পাড়ে জড়ো করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঢাকের শব্দে এ সময় পুরো এলাকা মেতে ওঠে। পরবর্তীতে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে একে একে দেবী বিসর্জন দেয়া হয়। এবার চন্দনাইশে ১১৪টি পূজা মন্ডপের আয়োজন করা হয় দুর্গাপূজার। সরকারিভাবে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ৩৯, গুরুত্বপূর্ণ ১৮, সাধারণ ৫৭টি পূজামন্ডপে পূজা দেয়া হয়। নজিরবিহীন পুলিশি নজরদারির মাধ্যমে পূজা অর্চনা সম্পন্ন হয়। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠ ও সুচারুরূপে দূর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চন্দনাইশ শাখার সভাপতি উৎপল রক্ষিত ও সাধারণ সম্পাদক বলরাম চক্রবর্তী সনাতন ধর্মালম্বী, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।