
দেশচিন্তা ডেস্ক : লিফট এবং এসকেলেটরের আমাদানীতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবীতে আজ ৯ জুলাই দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বেলিয়ার মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা পরবর্তী গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তদুপরি গত অর্থবছরে লিফটের উপরে ৫% শুল্কবৃদ্ধি। করাতে আমাদানীকারদের আরো বেগতিক অবস্থার পড়তে হয়েছে এবং গত অর্থবছরে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। যার রেশ কাটতে না কাটতেই ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে আবারও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখেই বাণিজ্যক পণ্য হিসেবে আমদানী পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ২৫.৭৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং এসকেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরী থেকে অবমুক্ত করে আমদানী পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ৪৩ শতাংশ করা হয়।
গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্পের লিফট এবং এসকেলেটরের বর্তমানে চলমান হাতেনেয়া কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার/ইউরোর মুদ্রার বিনিময় মূল্যের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায় ভলার/ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০% মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী/আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার উপর বাজেটে অতিরিক্ত শুষ্ক যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা”। অতএব এই শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বৎসরের কার্যাদেশের উপর পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক কর বহাল রাখতে সরকারের সুবিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।
আমরা বাণিজ্যিক আমদানিকারকপণ বিক্রয় পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট প্রদান করে থাকি। সরকার লিট উৎপাদনকারীদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মৌকুষ্ণ ঘোষণা করেছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক ও কর অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারীরা লিফটের যন্ত্রাংশে ০১% আমদানী শুল্ক প্রদান করে। উৎপাদনকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে জাহাজ ভাড়ার সুবিধা, আমদানি করের সুবিধা এবং সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট সুবিধায় সম্পূর্ণ লিফট আমদানিকারকদের থেকে ২৫% কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০% বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশিয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩৭%-৪০% যা যারপরনাই অসম হচ্ছে।
আমাদের শিল্পের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এবং সামগ্রীক অর্থনীতিতে লিফট এবং এসকেলেটর সরবরাহকারীদের দ্বারা পালন করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনা করে আমদানি নির্ভরতা থেকে বের হয়ে স্থানীয় শিল্প গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন নীতিমালা প্রনয়ণ এবং সেই আলোকে অবকাঠামো প্রস্তুত করা।
বেলিয়ার সভাপতি এমদাদ উর রহামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড এক্সপাটিজ বিডি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুজন সেন গুপ্ত, চিটাগং পাওয়ারের সিইও মিনহাজ মাহবুব, টু এলিভেটর কোম্পানি লিমিটেড
ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ নবী, এক্সেল এলিভেটর এন্ড পাওয়ার জেনারেশন স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিঃ ইসমাইল হোসেন, রি কল লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুহুল আমিন , জি ৩ ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্বাধিকারী সায়মুদ্দিন, প্যারাগন টেক লিমিটেডের ম্যানেজার রায়হান খালেদ, ডিজিটাল পাওয়ার সিটি লিঃ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এস,এম আবুল মহসিন, পিকো প্লাস লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনায়েতুর রহমান, বাসার এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ খাইরুল বাসার, এম টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পারফেক্ট লিফট লিঃ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাসনাত মির বাহার, স্পেন টেকের সিইও অলিউর রহমান, চিটাগাং এলিভেটরের সিইও মাহবুব, রয়েল লিফটের সিইও তারেক ইসলাম, এ আর আর টেকনোলজিস্ এর সিইও মামুন প্রমুখ।