দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্চ ভিলাসী ও আবেগপ্রবন না হয়ে যুক্তি নির্ভর বাস্তবমুখী চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আবেগের পাশাপাশি যুক্তির নিরিখে কাজ করলে কর্মজীবনে সফলতা আসবেই। তিনি আজ ১৭ অক্টোবর বুধবার দুপুরে কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড.মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের বিদায় এ সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সংবর্ধনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের সচিব মো. আবুল হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও রাজস্ব বিভাগের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নাছির উদ্দীন। এতে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরো বলেন, যে কোন মানুষের কর্মময় জীবন চলার পথে প্রতিবন্ধকতা আসে। এটাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভবিষ্যৎ জীবনে সফলতা ধরা দেয়। বাইরে একজন কর্মকর্তা যত দুর্নামই থাকুক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কাজ করলে তাঁর ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সৌভাগ্যের দার খুলে যায়। এ প্রসঙ্গে মেয়র বর্তমান সরকারে কর্মরত কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন। মেয়র বলেন কর্মজীবনে বদলী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে পদোন্নতি একজন দক্ষ কর্মকর্তার কর্মস্পৃহাকে নিঃসন্দেহে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, ড.মুস্তাফিজুর রহমান প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় গতি আনার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন। তবে সরকারি খাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় সন্তোজনক হলেও বেসরকারি পর্যায়ে তা সন্তোষজনক নয়। অথচ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে রাজস্ব অদায়ের হার ৭০ শতাংশ। তবে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। মেয়র বিদায়ী প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কর্মময় জীবনের সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বিদায়ী প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড.মুস্তাফিজুর রহমান বলেন কর্পোরেশনে কর্মকালীন সমযে আমি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি, চেষ্টা করেছি রাজস্ব বিভাগের কর কর্মকর্তা-উপ কর কর্মকর্তাদের মধ্যে দন্ধ দুর করে সমন্বয় সাধনের। যে কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাঁর দেড়শ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কর আদায় করতে সক্ষম হয়। এ অর্জন নগরবাসীর, মেয়র ও আমার। তিনি তার কর্মকালীন সময়ের অনিচ্ছাকৃত ভুলক্রুটিকে মেয়র সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান। পরে মেয়র বিদায়ী প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড.মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং উপহার তুলে দেন। উল্লেখ্য ড. মুস্তাফিজুর রহমানকে কাতারে কাউন্সিলর(শ্রম) পদে বদলী করা হয়েছে।