নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতকানিয়া উপজেলায় আরও একটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকালে ওই ইটভাটার চিমনী ও কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার (৭ মার্চ) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম। সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস।
এ উচ্ছেদ অভিযানে সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশার সার্কুলার রোডের মেসার্স আব্দুল কাদের জিলানী ব্রিকস ম্যানু. ইটভাটার চিমনী ও কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী বলেন, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের ইট পোড়ানোর লাইসেন্স না থাকায় এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট আইনের ধারায় সাতকানিয়া উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ১টি অবৈধ ইটভাটার চিমনী ও কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানকালে ফোর বিএম নামে একটি ইটভাটা পুনরায় চালুর করাতে ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কারণ এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইতিপূর্বে ভেঙে দেয়া হয়েছিল ইটভাটাটি।’ এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রাখতে ২৩ ইটভাটার ১৮ মালিক দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলেও এতে কোন কাজ হয়নি। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপরই জরুরি বৈঠকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার।